শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেচা-কেনা করছে ১৭ পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রামে মাদক পরিবহন, বেচা-কেনায় জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তৈরি করা মাদক পাচার ও বেচা-কেনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ১৭ সদস্যের নাম রয়েছে।

তালিকায় থাকা ওই পুলিশ সদস্যরা মাদক পাচার ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির উজ জামান বলেন, ‘মাদক বেচা-কেনা তো দূরের কথা, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই কোনো পুলিশ সদস্যের। কারও বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশন নেওয়া হয়।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা মাদকদ্রব্য পাচার ও বেচা-কেনায় জড়িত পুলিশ সদস্যের তালিকা থাকার বিষয়ে হাটহাজারী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এ তালিকায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার নাম এসেছে। আমি কখনো মাদক বিক্রি কিংবা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত নই। এমনকি জীবনে কখনো মাদক গ্রহণ করিনি।’

একই তালিকায় থাকা পরিদর্শক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের একটি তালিকা পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলার এসপি বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি এ অভিযোগের সত্যতা পাননি।’ তালিকায় থাকা পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ওই ধরনের কোনো তালিকার তৈরির কথা আমার জানা নেই। জানা যায়, মিয়ানমার ও ভারত থেকে আসা মাদক বেচা-কেনা এবং পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২।

ওই তালিকায় মাদক বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত এমন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ১৭ সদস্যের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন পরিদর্শক, ৯ জন এসআই ও তিনজন কনস্টেবল। ওই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন। তিনি বর্তমানে জোরারগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী। তিনি বর্তমানে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। এরপরে রয়েছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেফায়েত উল্লাহ। তিনি বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। এরপর রয়েছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মো. ইয়াসিন। তিনি বর্তমানে হাইওয়ে পূর্বজোনে কর্মরত রয়েছেন। এ তালিকায় থাকায় জোরারগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা ডিবিতে কর্মরত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন ফটিকছড়ি থানার এসআই মো. মাসুদ, হাটহাজারী থানার এসআই আনিস আল মাহমুদ, জোরারগঞ্জ থানার এসআই নাজমুল হোসেন, মীরসরাই থানার এসআই মো. সহিদুল প্রমুখ।

রাউজান থানার এসআই হায়াত আলী, রাঙ্গুনীয়া থানার এসআই পুষ্প বড়ুয়া, রাঙ্গুনীয়া থানার এসআই আবেদ, ভুজপুর দাতমারা পুলিশ ফাঁড়ি’র এসআই আবুল কাশেম, রাউজান থানার মুন্সি আলতাজ, ফটিকছড়ি থানার কনস্টেবল মোসলেম উদ্দিন, হাটহাজারী থানার কনস্টেবল আব্দুর রহমান। তালিকায় থাকা এসআইদের বর্তমানে অনেকেই বদলি হয়ে অন্য থানায় কর্মরত রয়েছেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়