শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:১৩ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থবছর শেষে ৭ শতাংশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

সাইদ রিপন : চলতি অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বলছে, অর্থনৈতিক অগ্রতির ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। পরপর তিন বছর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই হচ্ছে এর প্রমাণ। বুধবার আগারগাঁওয়ের এডিবির নিজস্ব ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানের মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুন চ্যান হং। প্রবিদনে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীন ভোগ ব্যয় ও সরকারি বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে। এডিবি আশা ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রফতানি আয় আরও শক্তিশালী হবে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রফতানি আয় প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত হতে পারছে না। এডিবির মতে প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা ধরে রাখতে রপ্তানিতে বৈচিত্র আনতে হবে। শুধু পোশাক শিল্প ও রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। রপ্তানিতে পচামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হাল্কা প্রকৌশলী শিল্প, ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, সফটওয়ার, আইটিখাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যা মানবসম্পদ উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধিতে ভালো করেছে। গত তিন বছরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে এটা কম অর্জন নয়। ২০১৬ সালে ৭ দশমিক ১, ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ এবং ২০১৮ সালের শেষে ৭ শতাংশ অর্জন অনেক ভালো। এডিবি মনে করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোপথে আছে। বিশ্বের কম দেশেই আছে বাংলাদেশের মতো ঊর্ধগতির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। মূলত কৃষি, সেবা ও শিল্পখাতের উপর নির্ভর করে প্রবৃদ্ধি। এরমধ্যে কৃষি ও সেবাখাতে বাংলাদেশ ভালো করছে।

তবে উন্নয়নে ধীরগতি দেখা গেছে শিল্পে। বিশেষ করে উৎপাদন ও পোষাক। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে অর্থনীতির বহুমুখীকরণ করতে হবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়তে গুণগত প্রশিক্ষণও দরকার।

প্রসঙ্গত, জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকার, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি তিন রকম হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাক্কলন অনুযায়ি এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর বিশ্বব্যাংকের হিসেবে এটি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও সরকার বলছে উন্নয়ন সহযোগিদের প্রবৃদ্ধি বিষয়ক হিসাব একেবারেই অনুমান নির্ভর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়