শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৫ সকাল
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মূলতঃ একটা আতঙ্ক ও আশঙ্কা!

খালেকুজ্জামান : আগামী নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে নাকি চর দখলের লড়াই হবে, এটা নিয়ে সংশয় থেকেই এই বিতর্ক টা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনার যখন সেনা মোতায়েনের কথা বলছেন। কারণ, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ আছে বলে মনে করেন না। যারা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলছেন, তারা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মত পরিবেশ এখন আর নাই। এজন্য তারা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলছেন। আবার যারা মনে করছেন, সামরিক বাহিনী মোতয়েনের প্রয়োজন নেই, তারা মনে করছেন যে, সরকারের কোন প্রকার সমস্যা হতে পারে।

সেই অবস্থা বিবেচনা করেই তারা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আপত্তি করছেন। এখানে দুটি বিষয় রয়েছে, সামরিক বাহিনী মোতায়েন এবং মোতায়েন না করা। এ দুটি বিষয়ের সাথেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। বিষয়টা মূলতঃ একটা আতঙ্ক ও আশঙ্কা। আরেকদিকে কারো কারো অসুবিধা এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমস্যা। সেগুলোকে নিয়েই বিতর্কটা চলছে। ফলে এটা প্রমাণ করে, এসব বাক-বিত-ার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। এবং অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সেই আশঙ্কা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

নির্বাচন মানেই হল জনগণের মত এবং পক্ষে নির্বাচন করা। এবং সেখানে যুক্তি তর্কের লড়াই হবে। জনগণের কাজ হবে যোগ্যদের নির্বাচিত করা। আদর্শের প্রশ্নে সেখানে বাছ বিচার হবে। সাধারণত পক্ষ বিপক্ষ সমর্থন টাও যুক্তির ভিত্তিতে সম্পাদিত হবে। সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার মতামতের প্রতিফলন ঘটাবে। সেখানে সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা কিংবা না করার প্রশ্ন শুরু হয়ে যায় কেন? সুতরাং এখানে স্পষ্ট যে, কার কোথায় সুবিধা কিংবা অসুবিধা হবে? এই নির্বাচনে সংঘাত সংঘর্ষ হবে কি-না, এই প্রশ্নটি যখন এসেই যায়, তখন নির্বাচনের মুল লক্ষই নষ্ট হয়ে যায়।

পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়