শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটার ব্যাপারে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত

গোলাম মাওলা রনি : বর্তমানে দেশের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ এবং আলোচনার বিষয় কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। সরকারি চাকরীতে ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত। তবে সম্প্রতি তা বড় আকারে রূপ নিয়েছে এবং সারা দেশের ছাত্রদের মাঝে বড় প্রভাব ফেলছে। কোটা নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন এবং সরকারের ভুমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। ছাত্রদের আন্দোলন সর্বশেষ ছোট খাটো সহিংসতায়ও রূপ নিয়েছে। সরকার যেভাবে অতীতের অন্যান্য আন্দোলন এবং অন্যান্য বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণে এনেছে, সেভাবেই হয়ত আন্তরিকতা নিয়ে এই কাজটা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এর ফলাফল হিতে বিপরীত হয়েছে।

এখান থেকে সরকারের শিক্ষা নিতে হবে এবং এই বিষয়টাকে কোন অপরিপক্ক হাতে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা ঠিক হবে না। কেননা, সরকারের শেষ সময়ে যখন নির্বাচনের একেবারে কাছাকাছি সময়, তখন প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বিষয়েই আগের মত আস্থা রাখার অবস্থায় নেই। এই অবস্থাতে আমি মনে করি, কোটার এই বিষয়টা যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তাদের সাথে বসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সোজাসুজি একটি সিদ্ধান্ত নিবেন। কোটার এই বিষয়টি বিবেচনার কোন বিষয় না, এটা সোজাসুজি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার। তিনি যদি আন্দোলনকারীদের দাবী মেনে নেন তাহলে মেনে নিবেন আর যদি মেনে না নেন তাহলে সোজাসুজি প্রত্যাখ্যান করে বলবেন যে, আমি মেনে নেব না। এর মাঝামাঝি মিলে একটি ফলাফল পাওয়া যাবে।

কিন্তু যদি এটা নিয়ে সময় ক্ষেপণ করা হয় বা কাল ক্ষেপণ করা হয় তবে এটা আরো বিস্তৃতি লাভ করবে। এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রলীগ। কারণ হল, ক্যাম্পাসে যে সকল ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় অনেকেই ছাত্রলীগ কে দায়ী করছে। পেপার পত্রিকায় বলছে যে, ছাত্রলীগের মধ্যে দু’তিনটা গ্রুপ হয়ে গেছে। কেউ পক্ষে থাকবে কেউ বিপক্ষে থাকবে। ফলে এই কোটা পদ্ধতি যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তবে সরকার, রাষ্ট্র এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে যতোটা ক্ষত্রিগ্রস্ত হবে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রলীগ। এবং এটা আওয়ামী লীগের জন্য বিরাট দায় সৃষ্টি করবে। কাজেই বিষয়টা, বুলেট আকারে অর্থাৎ যতো দ্রুত সম্ভব, পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক সরকারের এটার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। সরকার যদি বিবেচনা করে এটার পক্ষে, তাহলে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে তাদের দাবী মেনে নিতে হবে।

পরিচিতি : সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়