জাফর আহমদ : তুরস্কের সাথে রপ্তানি বাণিজ্য অনুকূলে থাকার পরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে কাক্সিক্ষত ফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সরকার মনে করছে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক সমস্যার সমাধান করা গেলে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, সিরামিক, পাট ও পাটজাত দ্রব্যসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য রপ্তানির বড় বাজার হবে। এ জন্য শিগগির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল তুরস্ক যাচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ তুরস্কে রপ্তানি করেছে ৬৩ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলারের। আর আমদানি করেছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ আমদানির চেয়ে প্রায় ৪২ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, হিমায়িত মাছ, শুকনা খাবার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক পণ্য, সমুদ্রগামী জাহাজ, হালকা প্রকৌশল পণ্যের চাহিদা রয়েছে তুরস্কে। কিন্তু উচ্চ শুল্কহারের কারণে আশানুরূপ পণ্য তুরস্কের বাজারে রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশটি বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের উপর ১৭.৫ শতাংশ এবং সিরামিকের উপর ১৯.৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে থাকে। এ কারণে দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সম্ভাবনা থাকলেও অতিরিক্ত শুল্কের কারণে সে সম্ভাবনা আটকে যাচ্ছে। এছাড়া দেশটি ইউরোপের অংশ হয়েও (ইউরোশিয়া) ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ার কারণে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না। এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল তুরস্ক যাচ্ছে। আলোচনা করে সমস্যার সমাধানও প্রত্যাশা করছে প্রতিনিধি সরকার। তুরস্কের সাথে চলমান এ সব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তুরস্কের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলাপ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় এ প্রতিনিধি দেশটিতে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :