আনন্দ মোস্তফা: রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত ১ মাস ধরে ইউরোপীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় প্রথম থেকেই কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান ছাড়াই রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাজ্য। শুরু থেকেই যা অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
এ ঘটনার জের ধরে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কার ও কথার লড়াইয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে। বর্তমান পরিস্থিতিকে স্নায়ুযুদ্ধকালের সঙ্গে তুলনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
হামলার ১ মাসেরও বেশি সময় সময়ে পার হয়েছে অথচ রাশিয়ার যুক্ত থাকার দৃশ্যমান প্রমাণ হাজির করেনি যুক্তরাজ্য। উল্টো ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি টুইট মুছে ফেলার ঘটনা যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এতে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছে দেশটি।
ব্রিটিশরা বিষয়টি এখন অনেকটা এড়িয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ থাকতে নারাজ রাশিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে সৃষ্ট সংকট থেকে দৃষ্টি ফেরাতে ব্রিটিশরা সলসব্যারির ঘটনা সাজিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নাভিনা।
শেষপর্যন্ত স্ক্রিপাল কাহিনীও কতদূর গোড়ায় তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এই বিষয়কে কেন্দ্র করে নতুন শতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :