হ্যাপী আক্তার : আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আকার ছোট হয়ে আসতে পারে বলে আশংকা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল গঠিত হলে পরে তার ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়। বিএনপির কাছ থেকে আসন ছাড়ের সুস্পষ্ট ঘোষণা পেতে দেরি হলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো আলাদা জোট করে নির্বাচন করার কথাও ভাবছে। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, জোটে ভাঙ্গন ধরাতে সরকারেরই ষড়যন্ত্র এটি।
বিএনপি নেতাদের দাবি, জোট ভাঙ্গার চেষ্টা হচ্ছে সরকারে ইন্ধনে। অতীতের মতো এটাও সফল হবে না বলে মত তাদের।
আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিয়ে বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ছোট দল গুলো নিজেদের আসন ভাগাভাগির হিসাব কষতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তারা আকারে ইঙ্গিত বিএনপিকে এ প্রস্তাবও দিয়েছে।
সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের সাথে ছোট দলগুলোর যে বৈঠক হয় তাতেও আলোচনা হয় বিষয়টি। কিন্তু দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবাসে রেখে বিএনপি নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ঝুঁকিও নিতে চাইছে না। আর এতে হাতাশা বেড়েছে জোটভূক্ত অনেক ছোট দলের।
এলডিপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, বিএনপি যদি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে একটা সমাধান না করে সে ক্ষেত্রে দলীয় ফোরামে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কত আসনে বা কিভাবে নির্বাচন করা হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেছেন, নির্বাচনের আগে যদি প্রার্থী তার এলাকায় যেতে না পারে তাহলে নিশ্চিত করে বলতে পারবে যে দলে জোটের নেতা বা প্রার্থী। আসন বন্টনে যদি পরিষ্কার করে কিছু না বলে তাহলে নিবন্ধিত দল হিসেবে আমাদের নির্বাচনের যাবার জন্য প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য।
২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা যখন ২০১৪ সালে নির্বাচনে যাইনি তখন আমাদের জোট ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। এখনোও যে সেই চেষ্টা করছে না, সেটা বলা যাবে না, ভাঙার চেষ্টা করছে। কারণ এই সরকারের নীতিটাই এমন, দলকে খাটো করে দেখানো তাদের কাজ।
জোট নেতারা বলছেন, বিএনপি জন্যই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছেন তারা। এই ত্যাগের কথাও মনে রাখা উচিত বিএনপির।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দুই-একটি অনুষ্ঠান ছাড়া বড় ধরনের সাংগঠনিক তৎপরতা দেখা যায়নি ২০ দলীয় জাটের। আর জোটবদ্ধ অন্তত ১১টি দলের রাজনৈতিক নিবন্ধনও নেই। সূত্র : ইন্ডিপেনডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :