মো. কামাল হোসেন: গত বছরের অগাস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়বে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা।
সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এ বিষযে একটি রুল চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন বেনসোউদা।
আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোন দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেয়া সব দিক থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার একে জাতিগত নিধন অভিযানের উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত একে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।
প্রসঙ্গত, এখানে আদালতের আওতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক উদ্যোগে অগ্রগতি দাবি করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কিন্তু তারপরেও আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করতে পারে, যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে।
একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়লে কৌঁসুলির দপ্তর তদন্ত করে অভিযোগ আনতে পারবে। গত বছরের অগাস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :