তিনি বলেন, কোটা ব্যবস্থা রাখার জন্য আমাদের সংবিধানে বলা আছে। অনুন্নত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের সংবিধানের ২৯ এর ৩ক ধারায় কোটা ব্যবস্থা রাখতে বলা আছে। এক্ষেত্রে আমাদের এই ব্যবস্থা আর কিছুদিন রাখতে হবে কারণ আমরা বিভিন্ন জেলার মধ্যে শিক্ষা এবং অন্যান্য ব্যবস্থার মধ্যে সমতা আনতে পারিনি। তবে এখন যেটা আছে তা একটি সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে সংখ্যায় সংস্কার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা খুবই অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক ঘটনা। কিছু মুখোশধারী এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। উপাচার্যের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বললেন, মুখোশধারীদের সবার হাতে রড ছিল এবং তারা কয়েকবার তার মাথা লক্ষ্য করে বারি দিয়েছিল আর অন্যরা প্রতিহত করছিল। এটা যদি না হতো অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। তিনি আরও বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই।
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলন অনেকদিন ধরেই চলছে এবং এটা এখন জনপ্রিয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় আন্দোলন এই অর্থে কারণ এই আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলেই একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মাঠে নেমে আসছে। যেহেতু সব ছাত্রছাত্রী এই কোটা আন্দোলনের পক্ষে সেহেতু অবশ্যই এর একটা যৌক্তিকতা আছে। সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে এই কোটার সংস্কার করা। আমি শুনেছিলাম যে, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কোটার পদ অনেকদিন যাবত শূন্য থাকে তাহলে তা মেধা দিয়ে পূরণ করা হবে।
তিনি বলেন, জেলার জন্য যে কোটা ব্যবস্থা ছিল সেটা এখানে আর দরকার নেই। কারণ সব জেলার সাথেই যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। সব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। তবে কিছু জেলা আছে যেগুলো খুবই প্রত্যন্ত এলাকা যেগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা যেহেতু পূরণ হচ্ছে না সেহেতু বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, মেধাবীরা কোনোভাবে বঞ্চিত না হয় এজন্য সরকারের উচিত এই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটা কমিটি করা। দুই-তিনজন সাবেক অথবা বর্তমান সংসদ সদস্য নিয়ে কমিটি করা হবে যারা বুঝবে। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ওই কমিটি দুই-তিন সপ্তাহ বা এক মাস সময় নিয়ে পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে দেবে। সরকার সেই রিপোর্ট মন্ত্রিপরিষদে নিয়ে তাদের সুপারিশটা গ্রহণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :