শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তায় ২ থেকে ৫ কেজি কম, বিপাকে কৃষক

সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কৃষকদের সাথে সার নিয়ে প্রতারণা। বাফার গুদামের সংশ্লিষ্ট ডিলারদের কাছে সার ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন জেলার সর্বস্তরের কৃষক। নবাব এন্ড কোং এবং সাউথ ডেল্টা শিপিং এন্ড ট্রেডিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে বিসিআইসি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও সারের ওজন কারচুপি থামছে না। ওজনে কম দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ কৃষকদের। এরই প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রাম বাফার গুদাম থেকে ইউরিয়ার সার উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন অনেক সার ডিলার।

ডিলারদের ভাষ্য, প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি থাকার স্থলে সেখানে দুই কেজি থেকে ৫ কেজি করে ইউরিয়া কম থাকছে। প্রতি ট্রাকে অন্তত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার ইউরিয়া কম পাচ্ছেন তারা। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ডিলারদের।

গত দুই মাস ধরে ওজন কারচুপি চলে আসলে এক সপ্তাহ ধরে চলছে ব্যাপকভাবে। গুদাম কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম মন্ডল। তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরেই ওজন কারচুপি চলে আসছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে তা চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতি বস্তায় নূন্যতম দুই-পাঁচ কেজি করে ইউরিয়া কম থকছে। প্রতি ট্রাকে অন্তত ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুনছে ডিলাররা। ওজন কম দেয়ায় বরাবরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ডিলাররা।

তিনি আরও বলেন, ওজন কম দেয়ায় কয়েকজন ডিলার সার উত্তোলনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। খবর পেয়ে তিনি বাফার গুদামে যান। কয়েকটি বস্তা ওজন করে কম দেয়ার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি স্বীকার করে কুড়িগ্রাম বাফার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, সোমবার সকাল থেকে গুদামে ইউরিয়া সারবাহী যে ট্রাক আসছে তাতে পরিমাণমত সার পাওয়া গেছে। ৮ এপ্রিলের পূর্বে যে ট্রাকগুলো ঢুকেছে এতে প্রতি বস্তায় দুই কেজি থেকে সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত ওজন কম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তারা পরিবহন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তারা নতুন করে বস্তাবন্দি করে ঘাটতি পূরণ করছেন।

এছাড়াও নবাব এন্ড কোং এবং সাউথ ডেল্টা শিপিং এন্ড ট্রেডিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে বিসিআইসি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বীজ-সার মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ ওজনে সার কম দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

কুড়িগ্রাম বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলায় জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের চাহিদা ৪১ হাজার মে.টন। মজুদ আছে ১০ হাজার মে.টন। পাওয়া গেছে ২৬ হাজার মে.টন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়