শরীয়তপুর প্রতিনিধি: ইলিশ শিকারে পয়লা মার্চ থেকে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। তারপরও অভয়ারণ্যে মাছ ধরছে জেলেরা। সরকারি সহায়তা না পেয়ে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এর ওপর রয়েছে এনজিওর ঋণের কিস্তি। মৎস বিভাগ বলছে জেলেরা সচেতন না হলে আইন প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া কঠিন।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের কোদালপুর এলাকার এই চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋণের চাপে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি জেলেদের। সরকারি সহায়তার কার্ড বিতরণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
অভিযান চালিয়ে মাছ শিকার বন্ধ সম্ভব নয় উল্লেখ করে মৎস বিভাগ বলছে, এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
ভোলাতে মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তুম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরণের মাছ ধরা নিষেধ। এসব এলাকায় প্রকাশ্যে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা।
ভোলায় নিবন্ধিত জেলে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন। বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৩ লাখ। অথচ সরকারি প্রণোদনা পেয়েছেন ৫২ হাজার জেলে।
দুইমাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানছেনা লক্ষ্মীপুরের জেলেরাও। ৪৬ হাজার জেলের মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে ২৭ হাজার। নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ জেলেদের।
বিভিন্ন সময় মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসনের অভিযানে জেলেদের জেল জরিমানা হলেও থামছেনা মাছ শিকার।
আপনার মতামত লিখুন :