শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:২৩ সকাল
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্যাম্পাস ছেড়েছে আন্দোলন চালানোর ঘোষণাকারীরা

ডেস্ক রিপোর্ট : চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অংশটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেওয়া ওই অংশটি সোমবার রাত ১০টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।

আগামী ৭ মে'র মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে বিকেলে তা মেনে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

তবে ওই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা আসে আরেকটি অংশের পক্ষ থেকে।

আন্দোলনকারীদের এই অংশ বলছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আবার অবস্থান শুরু করবেন তারা।

বিভক্ত হওয়া এ অংশের মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে বিপাশা চৌধুরী নামের একজন ঘটনাস্থলে বলেন, তারা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরদিন ১৬ এপ্রিল ‘চল চল ঢাকা চল’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করবেন।

এদিকে ক্যাম্পাসে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

এর আগে বিকেলে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সচিবালয়ে আন্দোলন আগামী ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, তরুণদের দাবি যৌক্তিক হলে তা উপেক্ষা করা হবে না। আগামী মে মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত সরকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এ পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন স্থগিত রাখবে।

'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ' এর আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।

পরে সন্ধ্যায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজু ভাষ্কর্যে এসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আগামী ৭ই মে পর্যন্ত সরকার কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এর ফল কি হবে তা আমাদেরকে ৭ই মে এর মধ্যেই জানানো হবে। এ সময়ের মধ্যে সরকার কোটার সংস্কার করবে বলেও আমাদের জানানো হয়েছে। সে পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত থাকবে।

তবে প্রতিনিধিদের এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনকারীদের একাংশ। আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা।

আন্দোলনে অংশগ্রণকারী এই অংশের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, আন্দোলনকে কৌশলে বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই একমাস সময় নেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার করতে এতদিন সময় লাগে না। একমাস পর রমজান মাস এবং সকলের পরীক্ষা থাকবে। যদি কোটা সংস্কার না হয় তাহলে ওইসময় আন্দোলন করতে করতে কয়জন আসবে? তাই আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানীক সমকালকে বলেন, আন্দোলনকারীদের অনেক আগেই চলে যেতে বলা হয়েছে। এই সময় ক্যাম্পাসে বাইরের কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই। তাছাড়া ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কোনো সংগঠনকে দেওয়া হয়নি। তাই এখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আগের দিনের আন্দোলনের জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা এসময় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় প্রদক্ষিণ করেন।

সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১০ শতাংশের বেশি কোটায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ নিয়ে টানা আন্দোলন চললেও রেববার তা সহিংস রূপ নেয়। এদিন শাহবাগ মোড় চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট-কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়।

এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা হল থেকে বেরিয়ে এসে টিএসসিতে অবস্থান নেন। টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাতভর পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সূত্র : সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়