আহমেদ জাফর ও জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে, লাশের রাজনীতি করতেই এমন তাণ্ডব এবং এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আল্লাহর অনেক রহমত প্রাণে বেঁচে গেছি এবং আমার পরিবারের সদস্যরাও অক্ষত আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি ভিসি বলেন, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা এবং লাশের রাজনীতি না হতে পারে, এজন্য জাতীয় সব বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমি আইনি পথ আর ধরিনি। ফলে ওই অবস্থার মধ্য দিয়ে তারা ভিতরে ঢুকে যে তাণ্ডব এই ধরণের তাণ্ডব পরিচালনা করবে এটাতো চিন্তার বাইরে। আমি ভাবছি তারা আন্দোলন করবে এবং এক পর্যায়ে চলেও যাবে। আমি বরং পুলিশকে বলেছি, তারা যেন কোনোভাবে পাবলিক লাইব্রেরী ক্রস করে দক্ষিণ দিকে না আগায়। কিন্তু ১০ মিনিটের মধ্যেই উপাচার্য ভবনের সামনে এসে তারা জড়িত হয় এবং এই তাণ্ডব পরিচালনা করে। আর কোটার বিষয়টিতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। সেইজন্য আমরা ধারণাও করিনি যে, এই ধরণের আক্রমণ এখানে হবে।
উপাচার্য বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোটার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য তাঁদের জানানো হয়েছে। এরপরও আমার বাসায় তাণ্ডব পরিচালিত হয়েছে। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা ছিল। কিছু ছাত্র আমার প্রাণ রক্ষা করেছে।
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত। আন্দোলনরত ব্যক্তিরা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চেষ্টার মাধ্যমে দরজা ভেঙেছে। আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখার জন্য বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলাম। এ জন্য বেঁচে গেছি। বেডরুমে থাকলে আমি মারা যেতাম।
আপনার মতামত লিখুন :