অধ্যাপক আবু আহমেদ : আমরা বেশি শুল্ক দিয়াও মোটামুটি ভালো করতেছি। বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার স্পেশাল কোন রিলেশনশিপ নাই। যেটা হয়তো পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার আছে। আমেরিকার যেসব দেশের সাথে ভালো রিলেশন কেবল সেসব দেশের শুল্ক কম নেয়। আমাদের ক্ষেত্রে তারা কিছুই করে না। বরং আমরা বেশি শুল্ক দিয়ে আমাদের গার্মেন্টস শিল্প প্রোডাক্ট আমরা পাঠাচ্ছি। এটা তো এখন না, এটা তো প্রথম থেকেই একই অবস্থা। আমরা যদি তাদের সাথে কোন ট্রেড ব্লকে যেতে পারতাম বা স্পেশাল কোন রিলেশনশিপে যেতে পারতাম তাহলেও হয়তো কিছুটা শুল্ক কমতো। এখন ট্রাম্পের জামানায় এটা আশা করাও যায় না। বরং সে হুমকি দিচ্ছে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টসে কিভাবে আরো ট্যাক্স বাড়ানো যায়। এখান থেকে উত্তরণে একটি মাত্র পথ অন্য মার্কেটের দিকে নজর দেওয়া এবং ইকোনমিক জোনের সদস্য হওয়া। ফ্রি ট্রেড এ্যাগরিমেন্টের সদস্য হওয়া লাগবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।
পাকিস্তানকে শুল্ক কমানোর কারণ নন ন্যাটো স্পেশাল পার্টনার হিসেবে ওরা ঘোষণা করেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যতটুকু পারি করবো, অন্যথায় অন্য দেশের প্রতি মনোযোগ দিবো। বাংলাদেশ যে কথা বলছে মালয়েশিয়া, শ্রীলংকার সাথে ফ্রি আমদানির কথা বলতেছি কিন্তু আসলে তারা এখন পর্যন্ত সাইন ই করে নাই। চায়নার সাথে ফ্রি ট্রেড এগরিমেন্ট করলে হয়তোবা পোশাক শিল্পে তেমন সাফল্য আসবে না। কিন্ত অন্য আইটেমে সাফল্য আসবে।
আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফ্রি ট্রেড এগরিমেন্ট নাই। কোন রাষ্ট্রের সাথেই নাই। সার্কের সাথে একটা ছিলো সেটা কার্যকর হচ্ছে না, ইন্ডিয়া পাকিস্তানের সাথে ঝগড়া চলার কারণে। ওই খানে একটা সুযোগ ছিলো আমাদের, কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমরা ইন্ডিয়ার মার্কেটেও সুযোগ নিতে পারি নাই এবং সার্কের সদস্য দেশগুলোয় আমরা সুযোগ নিতে পারিনি। অন্য দেশ থেকে আমাদের অবস্থা আমদানীর ক্ষেত্রে ভালো নয় ।
পরিচিতি: অর্থনীতিবিদ/মতামত গ্রহণ: মো. এনামুল হক এনা/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :