আবির ইমরান : দেশের এতগুলো শিক্ষিত বেকার যুবক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে, অথচ এ আন্দোলনের কোন মুল্যায়নই দেখছি না। আমি বিশ্বাস করি, যদি এই মেধাবী ছাত্রদের দাবী সরকার মেনে নিয়ে একটি জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এরা ভবিষ্যতে সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে। কারণ, এই ছাত্রগুলো প্রত্যেকেই মেধাবী। এরা মেধাবী হয়েও মুল্যায়ন না পেয়ে আজকে রাজপথে আন্দোলনে নামছে। শতকরা ৫৬ শতাংশ কোটা সুবিধা কেউই মেনে নিতে চাইবেনা। যেখানে দেশে প্রতিটি নিয়োগেই একটি পদের জন্য হাজার হাজার বেকার পরীক্ষা দিচ্ছে, সেখানে ৫৬ শতাংশ কোটা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে কোটা ভিত্তিক নিয়োগে পদশুন্য থাকছে, তবুও মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
আমরা বিসিএস পরীক্ষার জন্য দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি, রাতের পর রাত জেগে পড়াশুনা করছি। অথচ পরীক্ষার সময় অল্প নাম্বারের জন্য আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ, কোটা দিয়েই তো অর্ধেকের বেশি পদ দখল করে আছে। তার উপর আবার হাজার হাজার মেধাবীদের প্রতিযোগীতার লড়াই আছেই। বর্তমানে সবচেয়ে বিতর্কিত কোটা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। অথচ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যপারে আমাদের কোন প্রকার প্রশ্ন থাকাই উচিত ছিলনা। কিন্তু আমরা এত সম্মানিত একটি বিষয় নিয়েই বিতর্ক করছি। এর পেছনে কারণ হচ্ছে, ত্রিশ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাই এটাকে বিতর্কের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাক আমরাও চাই, কিন্তু ত্রিশ শতাংশ কোন ভাবেই কাম্য নয়। এর সংস্কার চাই।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : এইচ. এম. মেহেদী
আপনার মতামত লিখুন :