শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৩১ রাত
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় করুণ অবস্থা বিআরটিসির’

জান্নাতুল ফেরদৌসী: বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য সরকারিভাবে বিআরটিসির ৫০০ বাস থাকার কথা। কিন্তু ৭৬টি গাড়ি থাকলেও এখন সচল আছে মাত্র ৪৬টি। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় আর রুট ১৭টি থেকে ৯টিতে নেমে এসেছে। বহরে বর্তমানে যে বাসগুলো আছে তার অধিকাংশই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, নেতৃত্বের সংকট আর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে বিআরটিসি ধুকে ধুকে মরছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও বেসরকারি বাস মালিকদের নৈরাজ্য ঠেকাতে এ সার্ভিস চালু করলেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেননা সাধারণ মানুষ। এমপি-মন্ত্রীদের আবদার মেটাতে ব্যক্তিখাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিআরটিসির এসব বাস। ঠেলাঠেলি করে বাদুর ঝোলা হয়ে উঠতে হয় বেসরকারি বাসগুলোতে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রী হয়রানির নানা অভিযোগ।

তাই যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ১৯৬২ সালে সরকারিভাবে গণপরিবহণ হিসেবে চালু করা হয় বিআরটিসির বাস সার্ভিস। প্রথম দিকে কিছুটা সেবা পেলেও এখন একেবারে ভেঙে পড়েছে সরকারি এ সেবাখাত। কমেনি জনদুর্ভোগ,বরং বেড়েছে বহুগুণ। কালে ভদ্রে রাস্তায় দেখা মিলে বিআরটিসি বাসের। আর ভাড়াও আদায় করা হয় বেসরকারি বাসের মতো।

একজন যাত্রী বলেন, আমরা কেউই তেমন সেবা পাচ্ছি না। যে গাড়িগুলো দিয়েছে সেগুলো দেখাই যায় না।

মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী (সভাপতি, যাত্রী কল্যাণ সমিতি সাংলাদেশ) বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি অব্যবস্থাপনায় সংকুচিত হতে হতে একটা প্রতীকী সার্ভিসে পরিণত হয়েছে বিআরটিসি।

ভিআইপিসহ এমপি-মন্ত্রীদের অনুরোধে কিছু কিছু রুটে বাস বরাদ্দ দিতে হয় বলে জানালেন বিআরটিসির এই কর্মকর্তা।

মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া (ম্যানেজার অপারেশন, বিআরটিসি ডিপো, চট্টগ্রাম) বলেন, আমাদের অনেক সময় স্থানীয় মন্ত্রী এমপিদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। আমরা চাইলেই যে কোন জায়গা থেকে প্যাসেঞ্জার নিতে পারবো না।

২০১১ সালের আগে তিনটি প্রকল্পের অধীনে চলমান বাসগুলো বিআরটিসির বহরে যুক্ত হয়। এরপর নতুন করে আর কোন বাস যুক্ত হয়নি। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়