শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:২১ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এমননি আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনেও আগুন দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী ভিসিকে ফোন করেছেন।

উল্লেখ্য রবিবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে তিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব দেন জাহঙ্গীর কবির নানক। এই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন- এমন গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নানক বলেন, ‘আমি সব শিক্ষার্থীকে বলতে চাই, আমরা ছাত্র আন্দোলন থেকে বেড়ে ওঠা রাজনীতিবিদ। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনও ছাত্র মারা যায়নি। এটি নিছক গুজব, অপপ্রচার এবং অপশক্তির এটি একটি রটনামাত্র।’
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘আমি আশা করব, আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবেন। ছাত্রাবাসের সব ছাত্রছাত্রীরা তাদের হলে ফিরে যাবেন। আগামীকাল (সোমবার) মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলোচনা করে কোটা সংস্কার নিয়ে চূড়ান্ত সমাধান করা হবে।’
এর আগে, সোমবার সকাল ১১টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকের প্রস্তাব দেন নানক। তিনি বলেন, কোটা নিয়ে সৃষ্ট এই পরিস্থিতি সরকারের কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অবগত রয়েছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ২টায় ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে পদযাত্রাটি শাহবাগ মোড়ে আসে। বিকাল ৩টা থেকে সেখানেই অবস্থান নেন। এ সময় শাহবাগের আশপাশের সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবস্থান ধরে রাখলে রাত পৌনে ৮টার দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। এরপরই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অ্যাকশনের পর শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও টিএসসি এলাকায়। সবশেষে তারা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন এবং বাসভবনে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়