স্পোর্টস ডেস্ক: নারী ফুটবলে আরেকটি শিরোপা হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের সামনে। গত ডিসেম্বরে যে দলটি ঢাকায় জিতেছে সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, সেই মেয়েদের চোখের সামনে হংকংয়ের চার জাতি টুর্নামেন্টের ট্রফি। তিন ম্যাচের দুটিতে বাংলাদেশের মেয়েরা উড়িয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া এবং ইরানকে। রোববার শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক হংকং। চ্যাম্পিয়ন হতে বাংলাদেশের প্রয়োজন শুধু ড্র।
চার দলের মধ্যে বাংলাদেশ ও হংকং জিতেছে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ। তবে বাংলাদেশ যেখানে বিধ্বস্ত করেছে মালয়েশিয়া ও ইরনাকে। সেখানে হংকং এ দুই দলের বিপক্ষে পেয়েছে কষ্টের জয়। দুই ম্যাচে বাংলাদেশ গোল দিয়েছে ১৮টি, হজম করেছে ২টি। হংকং গোল করেছে ২টি। এখনো অক্ষত নিজেদের জাল।
আগামীকাল রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় হংকংয়ের মুখোমুখি হবে মারিয়া মান্দারা। প্রথম দুই ম্যাচের ফল বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে ফেবারিট হিসেবে। দুই ম্যাচে দেড় ডজন গোল করা বাংলাদেশের মেয়েদের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। হংকং যাওয়ার আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা জোর দিয়ে না বললেও এখন দলের কোচ, খেলোয়াড়রা শিরোপা ছাড়া কিছু ভাবছেন না।
ইরানকে ৮-১ গোলে হারানোর পর দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা আশাবাদীও। ইরানের খেলোয়াড়রা শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে ছিল। অনেকদিন এক সঙ্গে অনুশীলন করায় আমাদের মেয়েদের সমন্বয় ভালো ছিল। ফিটনেস লেভেলও ছিল ভালো। এগুলোই কাজে লাগিয়েছি। মেয়েরা যেভাবে দুটি ম্যাচ খেলেছে তাতে আমি খুব খুশি। এখন জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’
টানা দুই সহজ জয়ে খুশি অধিনায়ক মারিয়া মান্দাও, ‘আমি খুবই খুশি। দুটি ম্যাচ জিতেছি। শেষ ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে সর্ব শক্তি দিয়ে খেলে জয় নিয়ে ফিরতে চাই।’
ইরানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা তহুরা খাতুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল। দুই ম্যাচে ৫ গোল করা এ স্ট্রাইকার শেষ ম্যাচেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান, ‘নিয়মিত গোল পাচ্ছি। আমি খুব খুশি। এখন শেষটা ভালো হলেই হয়। আমরা সবাই তাকিয়ে শেষ ম্যাচের দিকে।’
আপনার মতামত লিখুন :