ইমরুল শাহেদ : পক্ষত্যাগী রাশিয়ান গোয়েন্দা সার্জেই স্ক্রিপালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পাশ্চত্যের মধ্যে বহিস্কার ও পাল্টা বহিস্কারের যে চর্চা শুরু হয়েছে, তাতে ব্রিটেনকে ২৩ জন ছাড়াও আরও ৫০ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলেছে মস্কো। শনিবার এ কথা বলা হয়েছে রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। বলা হচ্ছে, ব্রিটেন মিত্রদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যে আহ্বান জানিয়েছিল, এটা তারই শাস্তি।
রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা একটি ফরাসী বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘রাশিয়া পার্থক্যের কথাই বলেছে। ব্রিটেনের ৫০ জনেরও অধিক লোক রয়েছে রাশিয়ায়।’ শুক্রবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত লরি ব্রিস্টোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে বলা হয়েছে ল-নকে এক মাসের মধ্যে তাদের কূটনীতিক কমাতে হবে। ল-নে রাশিয়ার যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, মস্কোতেও ল-নের সমান সংখ্যক কূটনীতিক থাকবেন।
ব্রিস্টোকে একটি নোট হস্তান্তর করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, কোনো প্রকার পূর্ব সতর্কতা ছাড়া হঠাৎ করে বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়ান কূটনীতিকদের বহিস্কার করাটা এক ধরনের প্ররোচনা এবং ভিত্তিহীন একটা কাজ। শুক্রবার এ কথা বলা হয়েছে রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।
সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ সদস্য দেশ, ন্যাটো দেশগুলো এবং আরও কিছু দেশ থেকে ব্রিটেনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ১৫০ জন কূটনীতিককে বহিস্কার করা হয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়াও ব্রিটেনের ২৩ জন কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে এবং সেন্ট পিটার্সবুর্গের কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। রাশিয়া এসব ব্যবস্থা নিয়েছে ব্রিটেন থেকে রাশিয়ার ২৩ জন কূটনীতিককে বহিস্কারের পর। উর্ধ্বতন পর্যায়ে তাদের যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া শুক্রবার ২৩ দেশের কূটনীতিকদের বহিস্কার করেছে। এসব দেশের বেশির ভাগই ইইউ সদস্য দেশ। এই বহিস্কার ও পাল্টা বহিস্কারকে বলা হচ্ছে ‘টিট-ফর-ট্যাট’। স্ট্রেইট টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :