হুমায়ুন কবির খোকন: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, চলচ্চিত্র দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা হাসান ইমামই সভাপতিত্ব করবেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি অমূলক। আগামী ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বিষয়টি পরিস্কারভাবে তুলে ধরতে শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রী একথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, এটি সরকারি কর্মসূচি হলেও আমি জাতীয় উদযাপন কমিটিতে জনাব হাসান ইমামকে সভাপতি করার কথা বলেছি। আর বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পালন করবেন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব।
সরকারি কর্মসূচি বলে কেউ কেউ এফডিসির এমডিকে কমিটি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি তা জানার সাথে সাথে বলেছি, প্রবীণ অভিনেতা হাসান ইমাম একইসাথে কমিটি এবং অনুষ্ঠান দুটিরই সভাপতি হবেন ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপনের সরকারি কর্মসূচিতে চলচ্চিত্রের বিশাল জগতের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা সকলের অংশগ্রহণই আমাদের কাম্য। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপিত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিলের মাধ্যমে এফডিসি প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় এই দিবসের জাতীয় চেতনা ধারণে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
হাসান ইমামকে সভাপতি করার আরো যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রী ইনু বলেন,তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) বাস্তবায়িত অনুষ্ঠানটি সরকারি খরচে হলেও এখানে শিল্পী-প্রযোজক-পরিচালক-কলাকুশলীদের অংশগ্রহণকে মর্যাদাপূর্ণ করার আন্তরিক চেষ্টা থেকেই প্রবীণ শিল্পী হাসান ইমাম সভাপতি হয়েছেন। এসময় সিনেমা আমদানি-রপ্তানির বিষয়টিও সকলের জানা প্রয়োজন, উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে বছরে ৫০ থেকে ৭০টা চলচ্চিত্র হয়। সাফটা চুক্তির কারণে আমরা একটি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে একটি সিনেমা আমদানি করতে পারি। সেটিও চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যদেরই কমিটির মাধ্যমে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের (২০১৭) জুলাই থেকে এপর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র এসেছে মাত্র ছ’টি। তাই ভারতীয় বা অন্য বিদেশী সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রকে গ্রাস করছে, একথা কল্পনাপ্রসূত। এপ্রসংগে চলচ্চিত্র মুক্তি দেবার বিষয়টিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,মন্ত্রণালয় নয়, দেশের প্রযোজক এবং পরিবেশক সমিতি ঠিক করে, কোন শুক্রবার কোন সিনেমা মুক্তি পাবে।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন,শেখ হাসিনার সরকার চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ ও সিনেমার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে, এফডিসির ফ্লোরগুলোতে আবার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে, এফডিসি ডিজিটাল হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির কাজ এগিয়ে চলেছে। সিনেমা হলগুলো যেহেতু ব্যক্তি মালিকানায়, তাই তাদের উৎসাহিত করতে নেয়া হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প।
আপনার মতামত লিখুন :