শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৪১ দুপুর
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেষ হয়নি কিশোরগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ

সাজিয়া আক্তার : দু’দফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি কিশোরগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ। যদিও এর পেছনে সঠিক সময়ে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার কথা বলছে পিআইসি সভাপতি। আর সময় মত বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় এবার ও ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করা জরুরী।

গেল বছর পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে ভেঙে যায় কিশোরগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ, তলিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল। এর পর ফসল রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্বোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা শেষ হয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু বার বার সময় বৃদ্ধি করেও শেষ করা যায়নি প্রকল্পের কাজ। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায় ঠিক মত মাটি না ফেলেই বাঁধের কাজ করা হচ্ছে, ফলে এবার ও ফসল হারানোর শঙ্কায় হাওরের কৃষকরা।

স্থানীয় এলাকা বাসিরা বলেন, এরকম কাজ কখনো হয়নি যা হয়েছে তা এবারই প্রথম, যে কাজ হয়েছে তা খুব হালকা ধরনের কাজ।যতক্ষণ পর্যন্ত ধান ঘরে না তুলতে পারছি ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চিন্তা। একটা স্থায়ী বাঁধ হলে আমরা কৃষকরা সবাই উপকৃত হতাম ।

কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলি ও বাজিতপুরে ফসল রক্ষায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০টি বাঁধ, যদি ও সময় মত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার অজুহাত পিআইসি সভাপতির।

বাদলা ইউনিয়নের ইউপি চেরম্যান ও পিআইসি সভাপতি মো.আব্দুল গণি ভূঁইয়া বলেন, কাজ প্রায় শেষের পথে, অতিরিক্ত কিছু করছি, সমান বড় লেবেল করছি, স্লেপটার দিচ্ছি। বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলে মাটিগুলো আরো দূর থেকে আনতে পারি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি বাঁধ নির্মাণের ফলে এবার ফসল হানীর শঙ্কা নেই, তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উপর জোড় দেন কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে ৮৫% কমপেকশান করে বাঁধ নির্মাণ করছি তাতে ৭০-৮৫% বাঁধ স্থায়ী হবে। কিছু কিছু বার্নারেবল পয়েন্ট আছে, ওয়েব পূর্ণ এলাকা আছে ঐ এলাকাতে একটু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। ঐ সকল এলাকা আমরা সি সি ব্লকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। এতেই হাওর এলাকার বাঁধ টেকসই হবে।

কিশোরগঞ্জের হাওর রক্ষা খরচ ও ধরা হয়েছে প্রায় সারে ৭ কোটি টাকা ।

সূত্র : চ্যানেল ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়