হ্যাপী আক্তার : চট্টগ্রামে বাড়ছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। কিন্তু বিচার হচ্ছে না কোনটিরও। গত দুই বছরে চাঞ্চল্যকর ১০ হত্যাকাণ্ডের একটিরও তদন্ত শেষ হয়নি এখনও। এর মধ্যে বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের কারনে।
গেল ২৬ মার্চ দুপুরে নগরীর মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী প্রস্তুতি বৈঠকে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে প্রকাশ্যে মহিউদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়।
নিহত মহিউদ্দিন পরিবারের অভিযোগ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন বন্দর এলাকার সাবেক আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা হাজী ইকবাল। যিনি চট্টগ্রামের ১০ আসনের সরকারি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। হাজী ইকবাল নেতার পক্ষ ত্যাগ করা এবং আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারন বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীন।
প্রায় দেড় বছরেও সন্তান হত্যার বিচার পাননি দিয়াজের মা। মামলা তুলে দিতে উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে।
অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের জের ধরে গেল বছরে ৬ অক্টোবর মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস এবং ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হন সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ইয়াছির আরাফাত।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম বলেছেন, এখন তো আর জয় বাংলা বলার লোকের আর অভাব নেই। ৭১ এ আমরা দেখেছি অনেকেই জয় বাংলা বলে পাটের গোদামে আগুন দিয়েছে। অনেক জায়গা তারা বোমা মেড়েছে। আওয়ামী লীগের নামে স্লোগান দিয়েছে সেই সময়ে। হয়তো তারাই এইসব মিশনের সাথে জড়িত আছেন।
গেল দুই বছরে সংগঠিত ১০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কোনোটিতেই অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্তে কোন প্রকার ঘাটতি নেই বলে দাবি পুলিশের।
চট্টগ্রাম মট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেছেন, বিচার না হাবার কোনও বিষয় নয়। একটি ঘটনা যখন ঘটে তখন মামলা হয়। মামলার তদন্ত হবে, বিচার হবে। কাজটি তো আর একদিনের কাজ নয়।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :