শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একেই বলে মশা মারতে কামান দাগা!

ডেস্ক রিপোর্ট : মিসাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে মশা খুঁজতে রাডার বানাল চীন। চীনা সেনার নতুন শত্রু এখন মশা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। মশা। এই মশার বিরুদ্ধেই এখন কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বেজিং। ধেয়ে আসা মিসাইলকে চিহ্নিত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এবার মশার বংশ ধ্বংস করতে চায় লালচীন।

‘সাউথ মর্নিং চায়না পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদন মোতাবেক, মশা খুঁজে তাদের রুখতে ‘মিলিটারি গ্রেড’ রাডার বানাচ্ছে বেজিং। বেজিং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে এই ‘কাটিং এজ’ রাডার। আশেপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটিও মশা খুঁজে পেলে এই রাডার জানান দেবে। আপাতত যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরি। ঠিক মশা মারতে নয়, প্রাথমিক ধাপে মশা খুঁজে পেতে তৈরি হচ্ছে এই যন্ত্র। শত্রুকে নিধন করতে হলে আগে তাকে চিহ্নিত করা জরুরি, এই মন্ত্রে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের গবেষণা।

কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো শোনালেও মশার দল খুঁজে তাদের ‘টার্গেট’ করতে এখন রীতিমতো সামরিক কায়দায় পদক্ষেপ করেছে চীন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানাচ্ছেন, সাফল্য পেলে মানবজাতির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এই যন্ত্র। কী কাজ করবে এই যন্ত্র?

উত্তরে তিনি জানালেন, ‘এই যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরোবে যা আশেপাশের ২ কিমি পর্যন্ত মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্রও জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। মশাটি কোন জাতের, সেটির লিঙ্গ, কত জোরে উড়ছে বা কোনদিকে উড়ে যাচ্ছে, এই সবই ল্যাবে বসেই জানা যাবে।’

তারপর সেটি কীভাবে নিধন করা যায়, তার পন্থা খোঁজা হবে। সেক্ষেত্রেও সামরিক কোনও সরঞ্জাম ব্যবহারের পথে হাঁটতে পারে লালচীন।

কিন্তু সব কিছু ছেড়েছুড়ে হঠাৎ মশা কেন? উত্তরে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, আধুনিক সভ্যতার কাছে মশা এক অভিশাপ। বহু জটিল রোগের ভাইরাস এই পতঙ্গ বয়ে আনে। নোংরা জীবাণুর উপর বসে সেই জীবাণু মানবদেহে সরাসরি প্রবেশ করিয়ে ডেকে আনে ম্যালেরিয়া বা জিকা-র মতো রোগ। মহামারি ছড়াতে মশার জুড়ি মেলা ভার।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের একটি দাবি মোতাবেক, প্রতিবছর মশার কামড়ে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ মারা যান। আধুনিক সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে তাই এবার মশার বংশ শেষ করতে উদ্যোগী হল বেজিং। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ির ছাদে এই যন্ত্র বসিয়ে মশাদের ঘাঁটির হদিশ পাওয়া যাবে।

অন্যান্য এশীয় দেশে সাধারণ রাডার বসিয়ে পাখি বা বড় পতঙ্গদের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখা হয়। আর চীন এবার মশার মতো মারাত্মক অথচ ছোট্ট পতঙ্গকে চিহ্নিত করতে মিলিটারি গ্রেড অস্ত্র বানাল। তাদের এই উদ্যোগকে কিন্তু সাধুবাদ দেওয়াই যায়। সূত্র : কালের কন্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়