হ্যাপী আক্তার : বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ বলা হলেও দূষণ আর ভরাটের কারণে দিন দিন নদী তার রূপ হারাচ্ছে। এসব নদীর মধ্যেই একটি নদী বুড়িগঙ্গা।নদীর পানির সঙ্গে আলকাতরার তফাত খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। দ্রবীভূত অক্সিজেন শূন্যের কোঠায়। মাঝ নদীতে চলছে কার্গো মেরামত। তলদেশে জমেছে পলিথিন-আবর্জনার ১৩ ফুট স্তর।এছাড়াও পড়ছে ৮০টি ডায়িং কারখানার বর্জ্য। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এই নদী।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর ১৪ লাখ ঘনমিটার পয়োবর্জ্যের ৩০ শতাংশ শোধন হচ্ছে। ৭০ ভাগই অপরিশোধিত অবস্থায় যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা ও অন্য নদীতে।
নিয়ম অনুযায়ী নদীর পানির মান ভালো হওয়ার কথা ভাটিতে।
মাঝ নদীতে চলছে কেরানিগঞ্জের ডক ইয়ার্ডের কার্গো জাহাজের মেরামতের কাজ। পণ্যবাহী জাহাজ সংস্কারও হচ্ছে নদীতেই। এর ফলে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছে পানিতে। অথচ নদী-সাগরসহ যেকোনও জলাশয়ে জাহাজ ভাঙ্গা-সংস্কার নিষিদ্ধ করেছে উচ্চ আদালত।
ধোলাইখাল থেকে মিলব্যারাক-শ্যামপুর ৮০টি ডায়িং কারখানার বর্জ্য ও রঙিন পানি পড়ছে নদীতে। রাজধানীর নাগরিক বর্জ্যের শেষ ঠিকানাও বুড়িগঙ্গা। আর এরই মধ্যে নদীর তলদেশে জমেছে প্রায় ১৩ ফুট পলিথিন ও আবর্জনা স্তর।
নদীতে মাছের পর বিলুপ্ত প্রায় সব জলজ উদ্ভিদ।
বুয়েটের গবেষণায় দেখা যায়, বছরে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত বর্জ্য মিশছে নদীতে। শুকনো মৌসুমে দ্রবীভূত অক্সিজেন নামে শূন্যের কোটায়।
তবে নারায়ণগঞ্জের পাগলায় মিলেছে উল্টো চিত্র। এখানে পানির দ্রবিভূত অক্সিজেন শূন্য দশমিক তিন তিন। তিন কিলোমিটার পথে মাছ ধরতে দেখা যায়নি কাউকে।
সূত্র : ইন্ডিপেনডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :