ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : কিছু এলাকায় সংঘর্ষ ও জালভোট প্রদানের মধ্যদিয়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের ১৩৩টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল কমিশনের। এরপরও কোথাও কোথাও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, জালভোট, কেন্দ্র দখল ছাড়াও সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলে একজন নিহতও হয়েছেন। ঘাটাইলে ইউপি এবং সুনামগঞ্জে পৌরসভার দু’টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এমন ঘটনা ঘটার একটা কারণ হচ্ছে এই নির্বাচনগুলোকে গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয় না।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আসলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যখন থেকে তাদের হাতে বিভিন্ন প্রকার সনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন তো জমি-জমা থেকে শুরু করে জন্ম নিবন্ধনের সনদও তারা দিয়ে থাকে। যার কারণে তাদের গুরুত্বটা একটু বেড়েছে। আমার কাছে এমন তথ্যও আছে যে, বিভিন্ন জায়গাতে এই নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নামে। যার কারণে এই নির্বাচনগুলোতে হানাহানি বেশি হয়ে থাকে।
এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, আসলে নির্বাচন কমিশনকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের ধরণ আলাদা আলাদা। তাই যেই নির্বাচনের যে ধরণ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :