শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে দালাই লামার প্রতি ভারত শীতল

ইমরুল শাহেদ : স্বেচ্ছা নির্বাসনে ভারতে থাকা তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা এখন খুব নিঃসঙ্গতা অনুভব করছেন। কারণ ভারত এখন চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। সীমান্ত নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে টানাপড়েন চলছে। গত বছর এই দুই দেশ ৭৩ দিন মুখোমুখি ছিল। এক পর্যায়ে দুই দেশের সেনা বাহিনী একে অপরের দিকে ইট-পাটকেলও ছোঁড়ে।

দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর। ভারত ভীত যে চীন ক্রমশই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে এবং একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের অর্থনীতির প্রসার ঘটাচ্ছে। চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়াটিভ ভারতকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে যান চলাচল এবং জ্বালানি খাত। বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকার প্রায় মাথা ছুঁয়েই যাচ্ছে বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়াটিভ। পাকিস্তান ছাড়াও এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রযেছে শ্রীলংকা, নেপাল এবং মালদ্বীপ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দেখলেন যে তার অনঢ় অবস্থান কোনোভাবেই চীনরে উপর কাজ করছে না তখন তিনি অবস্থান পরিবর্তন করার কৌশল নিয়েছেন। এজন্য দালাই লামার প্রতি ভারত আর আগের মতো উঞ্চ আচরণ করতে পারছে না।

চীন নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারত সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ‘আমরা একটা আইডিয়া মাথায় রেখে সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের পেছনে রয়েছে ২০১৭ সালের ঘটনাটি।’
আইডিয়াটা হলো দুই দেশের জন্যই স্পর্শকাতর এবং পারস্পরিক উদ্বেগ প্রকাশের। সেটা হলো মত পার্থক্য যাতে বিবাদে পরিণত না হয়।

দালাই লামা ১৯৫৯ সাল থেকে উত্তর ভারতের ধর্মশালায় অবস্থান করছেন। তিব্বতে যখন চীনা অভিযান শুরু হয় তখনই তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ধর্মশালায় তার সমর্থকরা একটি সরকার পরিচালনা করছে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে তিব্বতের স্বায়ত্ত্বশাসনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারত তাকে তার ধর্ম প্রচারের সুযোগ দিয়েছে এবং বিদেশ ভ্রমণেরও অনুমতি দিয়েছে।

এ মাসের শুরুর দিকে ভারত হঠাৎ দিল্লিতে দালাই লামার জনসভা নিষিদ্ধ করে দেয়। তিনি তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ৬০তম বার্ষিকী পালন করার কথা ছিল। রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়