স্পোর্টস ডেস্ক: শুধু ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তিই নন, শচীন টেন্ডুলকারকে খেলাটির সবচেয়ে বিশুদ্ধ চরিত্রের অধিকারীদের একজনই ধরা হয়। তবে এই ভারতীয় গ্রেটের বিরুদ্ধেও উঠেছিল বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ।
সেটা ২০০১ সালে এবং কাকতালীয়ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই, যেখানে সর্বশেষ বল ট্যাম্পারিং চেষ্টার বিতর্কে জড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। যদিও আইসিসি পরবর্তীতে শচীনকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু এই তিন ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) বড় শাস্তিই দিয়েছে। আর শচীনের মতে, বোর্ডটি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
২০০১ সালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচে রেফারি মাইক ডেনেস বলের সিম তোলার অভিযোগে শচীনকে এক টেস্ট নিষিদ্ধ ও ম্যাচ ফি'র ৭৫ শতাংশ জরিমানা করেন। তবে পরে দেখা যায় শচীন বলে লেগে থাকা মাটি পরিস্কার করছিলেন। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে আইসিসি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিল।
আর গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বল ট্যাম্পারিং চেষ্টার ঘটনায় জড়িত স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সিএ, ব্যানক্রফটকে করেছে ৯ মাসের জন্য।
অনেকের মতেই শাস্তির মাত্রা বেশি হলেও শচীনের মতে ক্রিকেটটা আইন অনুযায়ীই খেলা উচিত এবং জেতার জন্য মরিয়া হয়ে যা খুশি তাই করা উচিত না, 'ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত। আমি বিশ্বাস করি এটা বিশুদ্ধতম উপায়ে খেলা উচিত। যা হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে খেলার অখন্ডতা বজায় রাখতে সঠিক সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে। জেতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি কোন উপায়ে জিতছেন।'
সূত্র : টুইটার।
আপনার মতামত লিখুন :