জান্নাতুল ফেরদৌসী: চুয়াডাঙ্গা ও পিরোজপুরে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রির কথা থাকলেও তা মানছেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী। এতে বাধ্য হয়ে বেশি দামে ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কেনার অভিযোগ কৃষকদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার ব্যবসায়ীদের অন্যদিকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে কৃষি বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশিরভাগ কৃষকই সার কেনেন কাছের কোনো দোকান থেকে। ফসল তোলার পর টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ব্যবসায়ী বা খুচরা বিক্রেতাদের থেকে সার কেনেন তারা।
কিন্তু প্রতি বস্তা সার সরকার নির্ধারিত মূল্য ৮০০ টাকা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা। কেজিপ্রতি ১-৩ টাকা বাড়তি দামের অভিযোগ কৃষকদের। কৃষকরা বলছে, প্রতি বস্তা সারে ১’শ থেকে দেড়শ টাকা বেশি নিচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নয় সার ব্যবসায়ীরা। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের কারণে এখানে কোনো সারের সমস্যা নেই। ডিলাররা নিয়মিত সার আনছে এবং আমরা সেটি পরিদর্শন করছি।
অন্যদিকে পিরোজপুরে জেলা কৃষি সম্পসারণ অফিস থেকে প্রণোদনার সার, ঔষধ ও বীজ না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। এতে ফলনে প্রভাব পড়ার আশংকা তাদের।
তবে প্রণোদনা সীমিত হওয়ার কারণে সবাইকে এর আওতায় আনা যাচ্ছে না বলে জানান জেলা কৃষি বিভাগ। পিরোজপুর কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর বলেন, আমরা শুধু পরামর্শ দিয়ে থাকি।
বাগেরহাটে মৌসুমের শুরুতে ইউরিয়া সারের সংকট থাকলেও এখন আর সংকট নেই বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :