ডেস্ক রিপোর্ট : কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে ২৯টি পায়ের ছাপ পাওয়া যায়, যেগুলো প্রাথমিকভাবে বেশ পুরনো বলেই মনে হয়। এরপর গবেষকরা সেগুলো নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।
কালভার্ট দ্বীপে বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা প্রাচীন দ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে মাটির তলা থেকে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাই এই অঞ্চলে খননকার্য চালাচ্ছেন। সেখানেই শক্ত হয়ে যাওয়া ভূমিতে এ ছাপগুলো পাওয়া যায়। ছাপগুলোর মধ্যে ছিল দুজন বড় মানুষ ও একটি ছোট শিশুর পায়ের।
মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই একটি পাথরের চাঁই দেখতে পান তারা। সেই পাথর খণ্ডটিতেই মানুষর পায়ের ছাপটি চোখে পড়ে। দীর্ঘ পরীক্ষার পর গবেষকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করেন, পায়ের ছাপগুলো ১৩ হাজার বছরের প্রাচীন।
শেষ পর্যন্ত নানা গবেষণার পর গবেষকরা বলছেন ঠিক ১৩ হাজার নয় বরং ১২ হাজার ৭০০ বছরের পুরনো এ পায়ের ছাপগুলো।
তাদের পদচিহ্ন যখন পৃথিবীতে পড়েছিল সে সময় সবেমাত্র সর্বশেষ বরফ যুগ শেষ হয়েছে। সে সময়েই উত্তরাঞ্চলের একটি রুট ধরে (বর্তমানে বিলুপ্ত) এশিয়া থেকে মানুষ আমেরিকা-কানাডায় পদার্পণ করেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
গবেষকরা বলছেন, শুধু এই ২৯টি পায়ের ছাপই নয়, সেখানে আরো কিছু পায়ের ছাপ রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে কার ছাপ তা বোঝা যাচ্ছে না। এছাড়া সেখানে হাঁটাহাঁটি, পিছলে পড়া কিংবা ঘোরাঘুরির চিহ্নও স্পষ্ট। আর এ থেকে বোঝা যায় কোনো একটি বড় পরিবার বা গোত্র সেখানে বসতি গেড়েছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিক দলের সদস্য ডানকান ম্যাকলারেন জানাচ্ছেন, এ এলাকায় আরো পায়ের ছাপ ও নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে। তার কথায়, এত প্রাচীন হওয়া সত্ত্বেও পায়ের ছাপগুলো বেশ গভীর ও স্পষ্ট। গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে প্লস ওয়ান জার্নালে। সূত্র : কালের কণ্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :