ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন মহামারি আকারে বাড়ছে। ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না শিশু কিংবা বয়স্করাও। তাই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান করা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ ও সমাজ কর্মীরা। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই ঘুষ খেয়ে পুলিশ ধর্ষকদের ছেড়ে দেয় বলে বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে না অপরাধীদের।
বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চাকুরী নিয়েছিল ১৬ বছরের বিউটি। কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে স্থানীয় বাবুল। ক্ষুব্ধ বাবা মামলা করায় ফের বিউটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে বর্বররা। মরদেহ পরে থাকে শুকনা হাওরের সবুজ ঘাসে। হবিগঞ্জের এ ঘটনা যেন অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন, কেন রেহাই পাচ্ছে না তনু, আফসানা কিংবা সাতকানিয়ার ১ বছর ১০ মাস বয়সী দুধের শিশুও।
সাধারণ মানুষ মনে করেন, ধর্ষকরা চিহ্নিত হবার পরও তাদের কোন বিচারের বা শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না বলেই তারা বার বার একই কাজ করছে।
তারা বলেন, বিচারহীনতাই এ সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। তাদের আইনের আওতায় আনা হয় না বলেই এমন ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে দেশে ধর্ষণের ঘটনা তালিকাভুক্ত হয়েছিলো ৯৩টি। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় এক হাজারেরও বেশীতে। তাই মানবাধিকার কর্মী ও সমাজকর্মীরা মনে করেন, ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত।
সমাজকর্মী ড. জোবাইদা নাসরিন বলেন, এই মামলাগুলোর বিচার যদি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা হতো এবং মামলাগুলোর যদি মেয়াদ বেধে দেয়া হতো তবে এগুলো কিছু কমতো বলে মনে হয়।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই পুলিশ বলে তদন্ত করা হবে। প্রভাবশালী এবং রাজনীতিবিদের দ্বারা অনেক সময় প্রভাবিত হয় পুলিশ। এসব কারণে এ ধরনের ঘটনায় বিচার কম হয়।
এক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ অভিযোগ নিতে না চাইলে নির্যাতিতাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ হেড হেডকোয়াটার্স।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস বলেন, থানা যদি মামলা নিতে না চায় তবে জোনাল এসি কিংবা সার্কেল এএসপি কিংবা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাতে হবে।
এছাড়া তথ্য প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের মামলা নিতে বিলম্বের পাশাপাশি বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা হয় বলে দাবি পুলিশের। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :