রাজু আনোয়ার: ‘ঐক্যের সুরে সাম্যের গান’ বাঁধার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত তিনদিনব্যাপী নবম ‘সত্যেন সেন গণসঙ্গীত উৎসব ও জাতীয় গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতা-২০১৮’। বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উদীচীর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সভাপতি, গণসঙ্গীত শিল্পী গোলাম মোহাম্মদ ইদু।
উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ করা হয়। এরপর পরিবেশিত হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী ড. মহুয়া মুখার্জীর পরিচালনায় গণসঙ্গীতের কিংবদন্তি পুরুষ হেমাঙ্গ বিশ্বাসের অমর সৃষ্টি ‘ শঙ্খচিল’ গানের নৃত্যরুপ।
আলোচনা পর্বে অংশ নেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি কামাল লোহানী, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ও এবারের উৎসবের আমন্ত্রিত অতিথি বিমল দে।
আলোচনা শেষে এ ভূখণ্ডের প্রথিতযশা গণসঙ্গীতশিল্পীদের জীবন ও কর্ম নিয়ে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ প্রকাশিত সংকলন ‘গণসঙ্গীতের গণনায়কেরা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। গণসঙ্গীতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে অধিকার বোধ জাগ্রত করা এবং তাদেরকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এমন ১৭ জন গুণী মানুষের জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে এ সংকলনে।
সবশেষে ছিল প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিল্পীদের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য গণসঙ্গীত সংগঠন ও শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও মৌমিতা জান্নাতের সঞ্চালনায় এ পর্বে একক পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী, সায়ান, সোহানা আহমেদ, বিপ্লব রায়হান, রুবাইয়াত ইউসুফ অর্ণি এবং আমন্ত্রিত শিল্পী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী বিমল দে। আর দলীয়ভাবে গণসঙ্গীত পরিশেন করেন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, উদীচী যশোর জেলা সংসদ, বহ্নিশিখা প্রভৃতি। তিনদিনের এই অনুষ্ঠান শেষ হবে আগামী ৩০ মার্চ।
আপনার মতামত লিখুন :