শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৯:২৩ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৯:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আত্মহত্যার শীর্ষে বরিশাল !একবছরে ২৪৮৫ জনের মৃত্যু

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল: ২০১৭ সালে বরিশালসহ সারাদেশে ১১ হাজার ৯৫ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৩০ জন মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যু বেঁছে নিয়েছেন। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে গতবছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বরিশালের ছয় জেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক হাজার ৬০৮ জন, বিষপানে ৮৭১ জন এবং গায়ে কেরসিন ঢেলে ছয়জন আত্মহত্যা করেছেন। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তারা বলেন, প্রতিটি মানুষ তার প্রতিদিনের জীবনে কোনও না কোনও সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছেন।

এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, তা তারা পাননা। কারণ তাদের পাশের প্রতিটি মানুষ মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। যেকারণে হতাশা গ্রস্তরাই আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিচ্ছেন।

পুলিশের সদর দফতরের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সারাদেশে ১১ হাজার ৯৫ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। এরমধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে সাত হাজার ৫৬৯ জন, বিষপানে তিন হাজার ৪৬৭ জন এবং গায়ে আগুন লাগিয়ে ৫৯ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। বরিশালে গত বছর দুই হাজার ৫৮৫ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

সূত্রমতে, ২০১৬ সালে সারাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ১০ হাজার ৬০০টি। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৫টিতে। প্রতিবছর আত্মহত্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মানুষ যখন তাকে সহযোগিতা ও সমর্থন করার মানুষ চারপাশে পান না, তখন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ ও বিষাদগ্রস্ততা।

এর সাথে যুক্ত হয় যন্ত্রণার স্থায়ী অনুভূতি এবং আত্মহত্যার মাধ্যমে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার অনড় এক বিশ্বাস। একসময় বিষাদগ্রস্ত মানুষটি মনে করেন বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। আর তখনই তিনি আত্মহত্যা করেন। জীবনধারণের যন্ত্রণা সব সময় হতাশগ্রস্ত মানুষটিকে চাঁপের মধ্যে রাখে এবং এই চাঁপ বহনে সে নিজেকে অক্ষম ও অযোগ্য মনে করেন।

এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে যেকোন সংকট ও অভাবকে মোকাবেলা করার জন্য হতাশাগ্রস্তদের মাঝে দৃঢ় মনোবল থাকার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সেগুলো পূরণের চেষ্টা করতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে ও তাদের সময় দিতে হবে। তাহলেই আত্মহত্যার সংখ্যা কমে আসবে বলেও বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়