আবুল হাসান শিবলী : গত বছর আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছর উদযাপন করেছি। এবার করবো ৪৮ বছরের উদযাপন। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বৈষম্য, পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি সবসময়েই পূব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি অবিচার করত বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
এর অন্যতম একটি ক্ষেত্র ছিল সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্র। আমরা যুদ্ধ করলাম, দেশও স্বাধীন করলাম, এরপর ভাবলাম, এবার আমাদের সুখের দিনটি বোধ হয় আসল। এবার জনসাধারণের প্রতি বৈষম্য কিছুটা কমলো! আসলেই কী বৈষম্য কমলো?
আমাদের সংবিধানের ২৯ এর ১ এ বলা হয়েছে,“প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে”। যেখানে আমাদের সংবিধানে আমাদের সুযোগের সমতার বিধান করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয় সেখানে কিভাবে ৫৬% কোটা রাখা হয়?
তাও আবার নাকি সাংবিধানিক ভাবে। যদিও ২৯ এর ৩ এ বিশেষ অনগ্রসর জাতি ও নিজসম্প্রদায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের লোক নিয়োগ এবং যাদের কমেও প্রকৃতির জন্য নারী বা পুরুষের জন্য অনুপযোগী তাদের জন্য যারা উপযোগী তাদের নিয়োগ করতে পারবে তা বলা হয়েছে।
মূলত বর্তমানে আমাদের দেশে যে কোটা ব্যবস্থা চালু রয়েছে তা অনেকটা উদ্ভট। আমাদের দেশে এ কোটা ব্যবস্থার কারণে দেশের মেধাবীদের সুযোগ না দিয়ে তুলনামূলক কম মেধাবীদের কে দেশের বিভিন্নগুরুত্বপূর্ণ আসনে বসানো হচ্ছে।
এটির কারণ যতটা না মেধাবীদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি অন্যায় করা হচ্ছে দেশের প্রতি। কারণ, আমাদের দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। যদি এ ব্যবস্থা চালু থাকে তাহলে আমরা একটি সময় এই উন্নয়নশীলতা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। বর্তমানে যে কোটা ব্যবস্থা আছে তা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানের ২৯ এর ১ কে লঙ্ঘন করে।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাবি/ মতামত গ্রহণ : শাখাওয়াত উল্লাহ/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :