শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তুমি আছো অন্তরে

সৈয়দ রশিদ আলম : দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকায়, ফেসবুক বান্ধবী, কেমন বান্ধবী? লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর আমার একাধিক ফেসবুক ফ্রেন্ড ইনবক্সে জানতে চেয়েছিলেন, এই ধারণের শিরোনামের লেখা অন্য কোন পত্রিকায় কখনোই দেখিনি। কি প্রেক্ষাপটে এই লেখাটি আপনি লিখলেন?

প্রশ্নের উত্তর লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কলকাতা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক দেশ পত্রিকায় একটি গল্পে এক লেখক কথায় কথায় তার প্রিয়জনকে বললেন, অনেক দূরে চলে যাচ্ছো, চলে যাও, কিন্তু মনে রেখো তুমি থাকবে অন্তরে, তুমি আছো অন্তরে।

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির করার পর প্রত্যেকের অন্তরে আরেকটি অন্তরের জন্য প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি করে দিয়েছেন। এটা চিরন্তন, এই প্রেম ও ভালোবাসা থেকে কোন মুক্তি নেই, যে পর্যন্ত না দু’চোখ চিরদিনের জন্য বন্ধ না হয়ে যায়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় ও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় কোন ধরণের উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার জন্য নয়, শুধুমাত্র দায়িত্ববোধ থেকে একজনের উপর দুটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম।

প্রতিবেদন দু’টি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমার জীবনে যন্ত্রণার আগুণ নেমে এসেছে। প্রত্যেকই ভেবে নিয়েছেন, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা দু’টি আমি লিখেছিলাম। বাস্তব সত্য ছিল একজন স্বল্প পরিচিত মানুষকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যার ফলে সেই ব্যক্তির সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বেড়ে যাবে কিন্তু এমনটি আর হয়নি।

মধ্যবৃত্ত বাঙ্গালী সমাজ এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সহজভাবে মেনে নিতে পারে না। সবকিছুর মাঝে তারা নেতিবাচককেই খুঁজতে থাকেন। কারণ, তারা যেহেতু বিনা স্বার্থে কোনকিছু করতে অভ্যস্ত নন, সেকারণে সবকিছুর মাঝে স্বার্থ খুঁজে বেড়ান।

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় সফর করতে গিয়ে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। কখনো ব্যথিত হয়েছি, কখনো বা তৃপ্ত হয়েছি, এটাই লেখক জীবন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশ সফর করে একই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কেউ কাছে এসেছে কেউ বা দূরে সরে গেছে। সবধরনের অভিজ্ঞতা একজন লেখককে মেনে নিতে হয়।

তা না হলে তিনি লেখার জগৎ থেকে হারিয়ে যান। দেশ পত্রিকায় একটি গল্পে বলা হয়েছিলো, হে প্রভু শেষ পর্যন্ত তুমি যখন আমায় ডাক দিবে তখন যেন তোমাকে মনে হয় সাথে সাথে আমার প্রিয়জনের কথাও যেন মনে হয়। কারণ, তুমি অন্তরযামি, তুমিতো অন্তরে থাকবেই কিন্তু যার ছবি তুমি আমার অন্তরে একই সাথে বসিয়ে দিয়েছো সেও আছে অন্তরেই।

পরলোক জগৎ বলে কোন জগৎ থেকে থাকে হে প্রভু সেখানে যেন তোমার সাক্ষাৎ পাই, একই সাথে যাকে আমি অন্তরে জায়গা দিয়ে দিয়েছি চিরকালের জন্য তাকেও যেন দেখতে পাই। প্রভু তুমি কি এই প্রেমিক হৃদয়ের হাহাকার শুনতে পাচ্ছো না।

যদিও উপরের অংশগুলো একটি গল্পের অংশ তারপরও একজন লেখক যখন সমাজ ব্যবস্থার কাছে অপমানিত হয়ে যান তখন তিনি একই রকম প্রার্থনা করতে থাকেন। আর বলতে থাকেন হে প্রিয়জন যত দূরে যাওনা কেন, তুমি থাকবে অন্তরে, তুমি আছো অন্তরে।
লেখক: প্রাবন্ধিক, গবেষক/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়