জান্নাতুল ফেরদৌসী: উত্তরাঞ্চলের লাখো আলু চাষী ভালো ফলন পেয়েও খুশি নেই। কারণ প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছে ১২ টাকা, কিন্ত কেজি প্রতি ৩ টাকাও বিক্রি করতে পারছে না। গত বছর দাম কম থাকলেও মাঠে এসে ব্যাপারীরা ট্রাকে ট্রাকে আলু নিয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার মৌসুম বয়ে যায়, তবু ব্যাপারীদের দেখা নেই। আলু নিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকের বিড়ম্বনার শেষ নেই। এবারের সংকট যেন আরও অনেক বেশি।
চাষীরা জানান, ৮৪ কেজি ওজনের এক বস্তা আলুর গড় বাজার দর এখন সাড়ে তিনশ’ টাকা, যদিও উৎপাদন ব্যয় হাজার টাকার বেশি। বাড়ি থেকে বয়ে আলু পৌঁছে দিলেও এর বেশি দাম দিচ্ছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হিমাগারের এজেন্টরা।
এদিকে বোরো আবাদের উপযুক্ত সময় এরিমধ্যে চলে গেছে। মাঠের আলু মাঠেই থাকায় হা-হুতাশ বাড়ছে কৃষকের।
কয়েকজন আলুচাষি বলেন, কেউ আলু কিনতে আসছে না। কোনো ব্যাপারীরাও আলু দেখতে আসছে না। দামও বলছে না। আমরা মাঠে মারা যাচ্ছি কিন্তু সরকার আমাদের দিকে তাকায় না।
বিশ্লেষকদের মতে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর, অধিদপ্তর ও এজেন্সিগুলোর সমন্বয়হীনতার, নিষ্ক্রিয়তায় অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদনের ফলে মার খেয়েই চলেছে কৃষক।
রংপুর কৃষক আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, প্রতিটি ব্লকে আলু উৎপাদনে একটা পরিমাণ নিদিষ্ট করে দেয়া উচিত। সবাই যেন আলু উৎপাদন না করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে, দেশে আলুর গড় উৎপাদন প্রায় ৯৫ লাখ মেট্রিক টন। যার ৩৫ শতাংশ হয় রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :