জান্নাতুল ফেরদৌসী: পাবনার নগরবাড়ী যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে নৌবন্দরের কার্যক্রম। পর্যাপ্ত ড্রেজিংয়ের অভাবে মাঝ নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে আটকা পড়েছে তেল ও সারসহ প্রায় অর্ধশত বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো-জাহাজ। নাব্য সংকটের কারণে জাহাজগুলো নোঙর করতে পারছেনা নৌবন্দরে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন জাহাজ মালিক, নাবিক ও খালাসিরা। তবে শিগগিরই ড্রেজিং করে বন্দরটির নৌ চ্যানেল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে নদীতে সর্বনিম্ন ১০ ফুট গভীরতা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি শুষ্ক মৌসুমে নগরবাড়ী থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার নৌ চ্যানেলের মোল্লার চর, মোহনগঞ্জ, কল্যাণপুর চর, চরসাফুল্লা ও চরশিবালয়সহ আরো প্রায় ১০টি পয়েন্টে গভীরতা মাত্র ৫ থেকে ৬ ফুট।
পাবনা নগরবাড়ী ঘাট বণিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ বলেন, ড্রেজিং ঠিকমতো না হওয়াতে মালগুলো সঠিক সময়ে আসতে দেরি হচ্ছে। বাড়তি খরচ হচ্ছে। যার কারণে উত্তরবঙ্গের বাজারে ঠিক সময়ে সার পৌঁছাচ্ছে না।
পাবনা মোল্লার চর ড্রেজিং পয়েন্ট বিআইডব্লিউটিএ'র সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত এই রুটটা যেখানেই নাব্যতা সংকট সেখানেই বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা ড্রেজিং করছি। ড্রেজিং মেশিনের অপ্রতুলতার কারণে কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে না তবে নৌ-চ্যানেল স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র তথ্য মতে, নৌপথে পণ্য সরবরাহ সুবিধা বাড়াতে ষাটের দশকে চালু করা হয় নগরবাড়ী নৌবন্দর। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে প্রায় ১শ'টি পণ্যবাহী কার্গো আসা-যাওয়া করে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :