শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৪ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘দেশে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার’

সাইদ রিপন : বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারে টিউবওয়েলের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছে ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার। এর পরেই ট্যাপের পানি ব্যবহার করছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। টিউবওয়েল ও ট্যাপ মিলিয়ে প্রায় ৯৮ ভাগ পরিবার বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের আওতায় রয়েছে। যা ২০১৩ সালে এ দুটি উৎসের পানি ব্যবহারের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ হার ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১৪ সালে ট্যাপ ও টিউবওয়েলের পানির ব্যবহার হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। এ দুটি উৎস থেকে ২০১৫ সালে এর ব্যবহার হয়েছিলো ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বছরের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৬’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জরিপটি পরিচালনার জন্য বাস্তবায়িত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক বলেন, সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, একজন স্থানীয় রেজিস্টারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ। অন্যটি হচ্ছে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাঠ পর্যায়ের কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাধ্যমে প্রতি তিন মাস অন্তর একই তথ্য গণনা ও তদারকির ভিত্তিতে এলাকার নমুনা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বিবিএসের কর্মকর্ত মো. মনির হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বাড়ছে। তাছাড়া মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের বিষয়ে অনেক সচেতন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে ৭২ শতাংশ পরিবার এবং গ্রামের ৯৩ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার। এছাড়া টিউবওয়েল ব্যবহার সবচেয়ে বেশি রংপুর বিভাগে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে খুলনা বিভাগে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে। এছাড়া সব চেয়ে কম টিউবওয়েল ব্যবহার করে ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ ট্যাপের পানি ব্যবহার করে মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার এবং শহরে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ট্যাপের পানি ব্যবহার করে ঢাকার ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রামে বিভাগে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে সিলেটে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারে ট্যাপ ব্যবহার করে। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে রাজশহী বিভাগে ১২ দশমিক ১ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৭ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩ শতাংশ পরিবারে ট্যাপের পানি ব্যবহার করা হয়।
শতাংশ পরিবার বৃষ্টির পানির ব্যবহার করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়