শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০৬ রাত
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের তকমা মঞ্চস্থের কোনো অবকাশ নেই

রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকারের বোধদয় খুবই জরুরি যে, বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি নির্বাচনের তকমা মঞ্চস্থের কোনো অবকাশ নেই। সরকার প্রধান প্রতিপক্ষের উপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে এবারও যেভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়-তা দেশে বিদেশে কোন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, সরকার যখন রাষ্ট্রীয় খরচে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে- তখন বিরোধীদলকে প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এটা কোন গণতন্ত্রই নয় এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশও নয়। বাংলাদেশের কথিত উন্নয়নে দেশের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত না রাখলে আমাদের সকল অর্জন মুখ থুবড়ে পড়বে।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ উত্তরণের সংবাদে আমাদের খুশী হওয়ারই কথা। তবে, আমরা ছোটকাল থেকে শুনে আসছি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে এত দীর্ঘসময় লাগার কথা নয়। আমাদের সরকার শাসকদের অপরাজনীতি ও অপউন্নয়নের কৌশলের কারণেই এত দীর্ঘ সময় লেগেছে। তবে, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তকমা দেওয়ার ঘটনাই এই সত্য কোনভাবে আড়াল করা যাচ্ছে না যে, আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে, স্বল্প সংখ্যক লুটেরা ও দুর্বৃত্তগোষ্ঠী আর অন্যদিকে শৈাষণ-নিপীড়নে নির্যাতিত সমাজের অধিকাংশের চরম অসহায় ও নিগৃহের জীবন সমাজ একদিকে যেমন খুবই উৎকর্ষ ধন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। তখনও পর্যন্ত ৩০-৩৫ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র সীমার নীচে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা অনেক কানা ছেলের পদ্মলোচনের মতো। তবে তকমা বজায় রাখায় বাংলাদেশকে আরো ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে উন্নয়ন অনেক প্যারামিটার অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি সমাজকে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রহীন রেখে ভোটাধিকারসহ জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ কোনো উন্নয়ন বাস্তবে টিকসই হয়না। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাও তাই হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালনা করে এসব উন্নয়নের কথাবার্তা বাস্তবে কোটি কোটি মানুষের রাজনৈতিক তাৎপর্য বহন করে না। অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়