রুহুল আমিন : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজধানীতে শোভাযাত্রা কর্মসূচী পালন করেছে। নয়াপল্টনের দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর মোড় ঘুরে পুনরায় পল্টনের দলীয় কার্যলয়ে সামনে এসে শেষ হয়্। এর আগে দুপুর থেকে বিএনপির দলীয অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন, ঘোড়ারগাড়ি, পিকআপ, দলীয় সংঙ্গীত বাজানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার ৪৭তম জাতীয় দিবস পালন করতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। মঙ্গলবার বেলা দুইটার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ ও সরকাররের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আজকে সারাদেশে জনগণের অধিকার নেই। যে চেতনা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, আজকে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ও সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন, গুম করে মামলা দিয়েছে। জোর করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।
ফখরুল বলেন, আজকে এই দিনে স্মরণ করতে চাই স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। যেসব মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ হয়েছেন তাদের, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।
তিনি আরো বলেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই ৪৭ বছর পর আমাদেরকে আজকেও অনুমতি নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হচ্ছে। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করি। তাহলে আমাদের আজকে শপথ নিতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দী হতে হয়েছে। তাদের মুক্তির জন্য স্বচ্ছতার দাবি গড়ে তুলতে হবে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে' সংসদ ভেঙে দিতে হবে সত্যিকারের পরিবেশ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের মিছিলের অনুমতি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেয়া হয়েছে। যেটা স্বাধীন দেশের মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার জনগণের অধিকারকে ক্ষুণœ করা চেষ্টা করেছে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ।
এছাড়াও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :