স্পোর্টস ডেস্ক: ‘আমাদের দল কেন এমন প্রতারণার আশ্রয় নেবে? এটা অবিশ্বাস্য।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা বল টেম্পারিং করে ধরা পড়লেন। এরপর দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পর এভাবেই নিজের বিস্ময় আর অবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।
শুধু তাই নয়, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফটদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে নির্দেশও দিয়ে দেন। স্মিথ-ব্যানক্রফটদের ঘাড়ে হয়তো বড় শাস্তিই নেমে আসতে যাচ্ছে সিএ’র পক্ষ থেকে। তবে শুধু ট্যাম্পারিংকা- নিয়েই নয়, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট নিয়ে আরো অনেক বিষয়েই কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। যেখানে অজি ক্রিকেটারদের ঐতিহ্য ‘স্লেজিং’ এর ঘোর বিরোধিতা করেছেন ম্যালকম টার্নবুল। একই সঙ্গে ক্রিকেট থেকেই স্লেজিং চিরতরে মুছে ফেলতে বলছেন তিনি।
যে কোনো দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম বড় শক্তি হয়ে দাঁড়ায় স্লেজিং। এটা খুব প্রচলিত কথা যে অজিদের বিপক্ষে শুধু ব্যাট-বল নয়, লড়তে হয় অনেক কিছুতেই। দলটির এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটাই না হয় সামনে আনা যাক। শুরু থেকেই সে কি উত্তেজনা সিরিজে। কুইন্টন ডি কক ও ডেভিড ওয়ার্নারের মধ্যে তো হাতাহাতি লেগেই গিয়েছিল। ঘটনার মূলে ওই স্লেজিং।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলছেন, ‘ক্রিকেটকে আবারো সবার সামনে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে হলে আমার মনে হয় স্লেজিং এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া উচিত। এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে...। ক্রিকেটে এর কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়।’ প্রধানমন্ত্রী যখন এমন কথা বলেন তখন তো সেটি সরাসরি নির্দেশ। সুতরাং, শুক্রবার জোহানেসবার্গে শুরু চতুর্থ ও শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ানরা স্লেজিং থেকে দূরে থাকবেন বলে ধারণা করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন নিজ দেশের ক্রিকেটাররা এই বিষয়ে খুব পটু জেনেই। কিন্তু তার কাছে যে ক্রিকেটাররা এখন ভিলেন! যারা শুধু নিজ দেশ নয়, কলঙ্কিত করেছে ভদ্রলোকের খেলাকেই। ম্যালকম টার্নবুল মনে করেন, ‘ক্রিকেট খেলা... এমন একটা কিছু হওয়া উচিত যা আবারও রোল মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।’
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে বল ট্যাম্পারিং করে প্রতারণার আশ্রয় নেয় অজি ক্রিকেটাররা। ক্যামেরন ব্যানক্রফট হলুদ রঙের কিছু একটা দিয়ে বলের আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করনে। যার পরিকল্পনার মূলে ছিলেন অধিনায়ক স্মিথসহ সিনিয়ররা। যে কারণে পর দিনই স্মিথ ও ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্ব ও সহ-অধিনায়কত্ব বিসর্জন দিয়ে মাঠে নামতে হয়। স্মিথ-ওয়ার্নার আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন এমন খবরও প্রচারিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
সূত্র : ডেইলি ন্যাশন।
আপনার মতামত লিখুন :