শিরোনাম
◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাঠে সক্রিয় ১৭ নেতা

ডেস্ক রিপোর্ট : যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের রাজনৈতিক মাঠ অনেক আগে থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে বড় দুদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায়।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচার শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।

এই আসনে বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ১৭ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে আটজন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সাতজন এবং জাতীয় পার্টি থেকে রয়েছে দুজন।

যশোরের সবচেয়ে বড় উপজেলা মণিরামপুর। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা। বৃহত্তম এই উপজেলা নিয়ে একটি নির্বাচনী এলাকা।

জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১৩ জন।

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত যশোর-৫ আসন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সেই সময়কার প্রার্থী বর্তমানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য জয়ী হয়েছিলেন এখানে।

পরবর্তীতে তিনবার এমপি ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান। এর বাইরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীও এমপি হয়েছেন।

সম্ভাব্য প্রার্র্থীদের কেউ কেউ এলাকায় পোস্টার, লিফলেট, ফেস্টুন, ব্যানার টাঙিয়ে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মতবিনিময়, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে চলেছেন।

আওয়ামী লীগ থেকে যারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন, তারা হচ্ছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, তারই আপন ভাই বর্তমান এমপি স্বপন ভট্টাচার্য, প্রয়াত সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের সহধর্মিণী ডা. জেসমিন আরা, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কামরুল হাসান বারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ ও জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী। সবাই নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার কথা বলছেন নেতাকর্মীদের।

এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সাতজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

তারা হলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছা, যশোর জেলা জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, যশোর নগর বিএনপি সভাপতি মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. একেএম মেসবাহ উর রহমান ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইফতেখার সেলিম অগ্নি।

জাতীয় পার্টি থেকে যশোর জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী ও মণিরামপুর উপজেলা সভাপতি এমএ হালিমের নামও শোনা যাচ্ছে।

তবে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরু চৌধুরী শেষ অবধি যশোর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, এখানে ভোটযুদ্ধ হবে জোট-মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে মহাজোট প্রার্থী যে আওয়ামী লীগের নেতা হবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া অনেকটা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, এই আসন থেকে এতদিন জোটের শরিকদের প্রার্থী করা হয়েছে। আগামীতে দলীয় নেতাকে প্রার্থী করার চেষ্টা করবেন তারা।

অবশ্য জোটের অন্যান্য শরিক দলের নেতাদের বক্তব্য, জোটের স্বার্থে একেক আসনে একেক দলের নেতাকে প্রার্থী করা হয়ে থাকে। সেই হিসাবে যশোর-৫ আসনে মুফতি ওয়াক্কাস প্রার্থী হয়ে আসছেন।

এবার এখানে জামায়াত তাদের প্রার্থী দেওয়ার জন্য জোরালো দাবি তুলতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

যুক্তি হিসেবে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলছেন, এ আসনে বিএনপি পাশাপাশি জামায়াতের ভোট সবচেয়ে বেশি। ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের প্রার্থী ৮১ হাজার ভোট পান। তাদের প্রার্থী অধিকসংখ্যক ভোট পাওয়ায় জেলার ৬টি আসনের মধ্যে যে আসন জামায়াত চাইতে পারে তার মধ্যে এ আসন অন্যতম। বিএনপি সেটি মেনে নিলে এ আসনে মূলত আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।

সূত্র: আমোদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়