শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৬:১৭ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৬:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উন্নয়নের নামে নদী খাল ভরাট করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

জান্নাতুল ফেরদৌসী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  গঙ্গা পানি চুক্তির পর আমরা যখন গড়াই নদীর খনন শুরু করি খনন দক্ষিণাঞ্চরে লবণাক্ততা কমে যায়। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলো ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা এসে গড়াই নদীর খননের শেষ কাজটা বাকি ছিল সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল। সুপেয় পানি যেন অপচয় না হয় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে যেন পুকুর, খাল ও নদী ভরাট না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পানির জন্য প্রকৃতি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশুদ্ধ পানি রক্ষা করার ক্ষেত্রেই সকল পরিকল্পনা নিতে হবে। এখনো অনেক দেশে বিশুদ্ধ পানির জন্য হা হা কার। তবে আমাদের দেশে সেই অসুবিধাটা নেই। ৮৪ শতাংশের বেশি মানুষের জন্য আমরা সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। সবাইকে পুকুর, খাল ও নদী ভরাট থেকে বিরত থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, হিমালয় থেকে পলি এসে নদী ভরাট হয়। আবার এই পলিই ফসলের জন্য ভালো। তাই পানি ড্রেজিং করে নদীকে রক্ষা, নাব্যতা এবং নদী ভাঙন রোধ করা আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। বন্যার পলিমাটি দিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি। আমাদের শিখতে হবে বন্যার সাথে বসবাস। বাঁধ দিলে নদীর গতিপথ হারিয়ে ফেলে। আমাদের দেশের পরিকল্পনা এমন ভাবে নেয়া উচিত যা নদী, খাল রক্ষা হবে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর গঙ্গাপানির চুক্তি করে পানি আদায়ে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, নদীর তীরে গাছ লাগিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের ভারতের সাথে অভিন্ন নদীগুলোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। নেদারল্যান্ডের সাথে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ১’শ বছরে। পানি আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। ভারত কে পরামর্শ দিয়েছি নদী ড্রেজিং করতে। ড্রেজিং করলে পানিতো গড়িয়ে আসবেই সব পানি তো ধরে রাখতে পারবে না। দক্ষিণাঞ্চলের ৩৯টি উপজেলা নোনা পানি থেকে রক্ষা পেয়েছে। গঙ্গা পানি চুক্তির পর আমরা যখন গড়াই নদীর খনন শুরু করি খনন দক্ষিণাঞ্চরে লবণাক্তা কমে যায়। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলো ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা এসে গড়াই নদীর খনন শেষ কাজটা বাকি ছিল সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল। আবার গড়াই নদী খনন করেছি বসুন্ধারায় আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না কারণ আশেপাশে কোনো পুকুর বা খাল নেই। ঢাকার সবগুলো পুকুর ভরাট করে ভবন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন সরকার গঠন করলাম তখন ঢাকার শহর পানির জন্য হা হা কার ছিল। সুপেয় পানি যেন অপচয় না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সব বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলা হয় সেটা দূর করার জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে।

তিনি বলেন, বন্যার সাথে বসবাস করার জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পানির প্রয়োজন। যত কম পানিতে উৎপাদন করা যায় সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতিসংঘের এসডিজি আমরা গ্রহণ করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। মনে রাখতে হবে পানির অপর নাম জীবন, বন্যা আমাদের প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়