শিরোনাম
◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা পদ্ধতির দৌরাত্ম্যে বিপন্ন হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মেধাবীর ভবিষ্যৎ

রেজওয়ান হাসান রাজিব : সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা আসলেই একটা ভাল দিক। এর ফলে সমাজের কিছু সুবিধা বঞ্চিত জনগন এবং পিছিয়ে পরা নাগরিক তাদের ন্যায্য অধিকার ভোগের সুবিধা লাভ করে। একটি দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য কোটা ব্যবস্থা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির বীর সন্তান। যাদের জন্য আমরা লাভ করেছি আমরা আমাদের স্বাধীনতা তারা যদি কিছুটা সুবিধা দিতে না পারি তবে এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্যই একটা লজ্জা!! চলুন আরেকটু বিশ্লেষণ করি, কোন দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য মেধাবী এবং কোটার অনুপাত কতটুকু হতে পারে। ৯৫:৫, ৯০:১০ অথবা সর্বোচ্চ ৮০:২০ হতেই পারে, কিন্তু বিপত্তিকর অবস্থা তখনই সৃষ্টি হয় যখন এই অনুপাত দাঁড়ায় ৪৪:৫৬! আচ্ছা এতে লাভটা কি হলো ?

কোটা সুবিধার আসল উদ্দেশ্য অর্জিত হল কি ? নাকি ঘটনা এখানে ভিন্ন ? হতেও পারে। সরকার নিজেদের ক্ষমতা আরো বেগবান করার প্রত্যয়ে এদের চালিকার আসনে বসিয়ে রেখেছে যাতে সরকারি আমলারা তাদের নামই যপে। যাই হোক গত ২১-০৩-১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভায় সাফ সাফ ঘোষনা দিয়েই দিয়েছেন কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হবেনা। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০% এর নিচে কমানো যাবেনা।

এখানে তিনি বেশ কিছু যুক্তিও দেখিয়েছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কি তাদের ৩০% সুবিদার জন্য যুদ্ধ করেছে। যা তাদের ১৪ পুরুষ ভোগ করবে ? আচ্ছা ধরুন, যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের দাবি মানা হল। এখন শুধুমাত্র যারা এই প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তারা কি দাবি করতে পারবে যে, আমাদের কারণে দাবি আদায় হয়েছে। সুতরাং সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র যারা আন্দোলনকারীদের ২০% অথবা ৪০% জায়গা দিতে হবে ? এটা কি বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নিজেই বৈষম্য করা হলো না ? যদি এমনটা হতে না পারে, তবে মুক্তিযোদ্ধারাও তো এই আশা করবে না আমার বিশ্বাস।

তবে আমাদের নিজেদেরই উচিত তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা দেয়া, তাদের পরিবারকে সুবিধা দেয়া। মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে সুবিধা দেয়ার বিরোধীতা আমরা করি না, দরকারে তাদের ভাতা আরো বাড়িয়ে দিন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা আরো বৃদ্ধি করে দিন। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন ,এই হার ১০ % এর বেশি যাবে বলে আমার মনে হয় না ( নাতি-নাতনি এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিলে)।

আরেকটা কোটা আছে যেটা দেখলে হাসব নাকি কাঁদব ভেবেই পাইনা!! "পোষ্য কোটা" এই কোটার ও কি দরকার আছে? পরিশেষে বলব যে, কোটার বিলুপ্তি নয় এটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। নয়তো মেধাবীরা আর সরকারী চাকরিতে আসবে না । আমাদের প্রিয় দেশটা চলে যাবে মেধাহীনদের দখলে!!! আর এটার ফলাফল ভোগ করতে হবে অনেক অনেক দিন।
পরিচিতি : ছাত্র, সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ/মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/সম্পাদনা : শাখাওয়াত উল্লাহ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়