জান্নাতুল ফেরদৌসী: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ও সোনাহাট স্থলবন্দরকে জেলা শহরসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল ধরলা নদী। ধরলা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় ধরলা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরসহ ৩ উপজেলার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের দূরত্ব অনেক কমে আসবে। কমবে মানুষের ভোগান্তি।
সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধরলা সেতু’র নির্মাণ করা হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু তাতে দূরত্ব কমেনি। কমেনি ভোগান্তিও। এ অবস্থায় আবারো ফুলবাড়ী উপজেলার রামপ্রসাদ ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর কুলাঘাট এলাকায় ধরলা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে দ্বিতীয় ধরলা সেতু।
বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক শাহীন শেখ রঞ্জু জানান, সেতুটি চালু হলে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে অন্যান্য অঞ্চলের দূরত্ব কমবে ২৫ কিলোমিটার। এতে সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হবে। এটা চালু হলে অনেক পথ কমে যাবে এবং মাল আনা নেয়া অনেক সহজ হবে। খরচও অনেকটাই কমে যাবে।
কুড়িগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অলক সরকার জানান, সেতুটি চালু হলে দারিদ্রপীড়িত এই জেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এতে সড়ক পথের দূরত্ব কমে যাবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধাজনক হবে। ব্যবসাবান্ধব কুড়িগ্রাম গড়ে উঠবে।
এলজিইডি’র স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ জানালেন, ১৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে জানালেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।
২০১২ সালের ১২ই এপ্রিল দ্বিতীয় ধরলা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি ২৬ মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লেগেছে ৩২ মাস। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :