শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৫:৫৪ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০৫:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারকা আবিস্কারক এহতেশামকে খুব দরকার সিনেমার এ যুগে

ডেস্ক রিপোর্ট  : সিনেমা বা নাটকের ক্ষেত্রে একজন আবিস্কারক খুব দরকার। ভুল বললাম? যেই আবিস্কারক নতুন কাউকে সুযোগ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির সম্পদ তৈরী করবেন। বাংলা চলচ্চিত্রের এই তারকা তৈরীর কারিগর ছিলেন এহতেশাম। একটা সময়ে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান কিংবা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে তারকা বা অভিনয় শিল্পী পেয়েছি। অনেকদিন এই চলটা নেই। এই তারকা তৈরী করাও একজন পরিচালক কিংবা প্রযোজকের বড় যোগ্যতা।

১৯৫০ সালে তৎকালীন নির্বাক চলচ্চিত্রের একজন অভিনেতা ও প্রদর্শক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ১৯৫৭ সালে নিজেই ‘লিও ফিল্মস’নামে নিজেই একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। একে একে বলছি তার আবিস্কারের কথা। তার প্রযোজনা ও পরিচালনায় প্রথম সিনেমা ‘এদেশ তোমার আমার‘। চলচ্চিত্রের জন্য নায়িকা হিসেবে সুমিতা দেবী ও আনিস (খান আতাউর রহমান) নামের একজোড়া তরুন তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ভাবুন শুরুটা কী ছিল। পরবর্তীতে তাদের তারকা খ্যাতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই ছবির মাধ্যমে শুধু একজন কিংবদন্তী খান আতাউর রহমান ও সুমিতা দেবীকে বাংলা চলচ্চিত্র পায়নি। এ সিনেমার সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান ও কামাল আহমেদ। যে জহির রায়হান সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও খুব দ্রুত পরিপূর্ণ পরিচালক হিসেবে নাম লেখাতে সক্ষম হন। সেটা সক্ষম হয়েছিল গুরু এহতেশামের জন্যই।

তার হাত ধরেই সিনেমায় আসেন পরিচালক সুভাষ দত্ত , অভিনেতা রহমান ও অভিনেত্রী শবনম। তিনি নতুন নতুন গল্প আর ভাবনার যেমন আবিস্কারক ছিলেন। তেমনি উপমহাদেশের তৎকালীন সময়ের চলচ্চিত্রের রীতিনীতি আমুল পরিবর্তন করেন। যে রহমান ছিলেন এহতেশামের প্রথম ছবিতে খলনায়ক সেই রহমানকে পরের ছবিতে নায়ক হিসেবে দর্শকের সামনে হাজির করেন। রহমান ও শবনম হয়ে যান পশ্চিম বাংলার চিরসবুজ জুটি।

এহতেশাম শুধু যে একজন পরিচালক প্রযোজক ছিলেন তা নয়। তিনি হাতে ধরে তৎকালীন সময়ে নতুন চিত্রগ্রাহক, ল্যাব এর প্রিন্ট মাস্টার, লাইটম্যান, কালার মিক্সিং, সম্পাদনা’র মতো কাগিগরি অনেক কাজ শিখিয়েছিলেন। তার ছোট ভাই মোস্তাফিজও ছিলেন স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক। তারই বংশের আরেক বিখ্যাত পরিচালক ই আর খান। কিংবদন্তী সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজুর রহমান খান তার মামাতো ভাই। তারই হাত ধরে সিনেমায় আসেন। এহতেশাম ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ‘কে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের উৎসাহিত করেছিলেন এবং তার উদ্যোগের ফলে এই দেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ শুরু হয়। ‘চান্দা’ ছবির মাধ্যমে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কিংবদন্তী অভিনেতা নাদিম’কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। যিনি পরবর্তীতে উর্দু ছবির একচ্ছত্র দাপট অর্জন করেন। নাদিমের সঙ্গে এহতেশামের একমাত্র মেয়ে ফারজানা’র বিয়ে হয়। তাদের সন্তান ফয়সালও পরবর্তীতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়।

তিনি শুধু যে রহমান, শবনম, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্ত, জহির রায়হানকে নিয়ে এসেছিলেন তা কিন্তু নয়। পরিচালক কামাল আহমেদ, আজিজুর রহমান, ই. আর .খান, শিবলি সাদিক, ইবনে মিজান, নারায়ন ঘোষ মিতা, আমজাদ হোসেনের মতো বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী পরিচালক কিংবা রবিন ঘোষ এর মতো সঙ্গীত পরিচালক। তারই আবিস্কার নাদিম, শাবানা, নাঈম, শাবনাজ, শাবনুর এর মতো সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।
চলচ্চিত্রের শিল্পী কলাকুশলীরা তাকে শ্রদ্ধা ভরে ‘ক্যাপ্টেন’ উপাধি দিয়েছিলেন। আর ৯০ দশকের অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাঁকে ‘দাদু’ বলে সম্বোধন করতেন। চলচ্চিত্রের এই বেহাল দশায় একজন এহতেশাম খুব দরকার। যিনি একাই টেনে নিয়ে যাবেন বাংলা চলচ্চিত্রকে আরও পঞ্চাশ বছর কমপক্ষে। বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়