শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০২:০১ রাত
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ০২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে (ভিডিও)

এইচ এম নাহিয়ান, এ জেড ভূঁইয়া আনাস : গত ১৬ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার প্রথমধাপ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিপিডি) এই ঘোষণা সংক্রান্ত চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই স্বীকৃতিপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিবে জাতিসংঘ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। টিভিএনএর সাথে একান্ত আলাপে এমনটাই জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে হলে আরো ৬ বছর পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। সেজন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের শিক্ষা, উন্নয়ন, দুর্নীতি এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই উপলব্ধি আসতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদেরও উচিত হবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের জন্য যেই পরিসংখ্যানগুলো আমাদের সামনে আছে সেগুলো একটি পজেটিভ দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসে জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রথমধাপের স্বীকৃতি পেলো। এ স্বীকৃতিকে ভিত্তি ধরে সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রই যেন উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশেকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদেরকে দীক্ষিত করা। আর তাতেই আমরা সব বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারবো। ১৯৭১ সালের কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো কিন্তু তারা স্বাধীনতা আটকিয়ে রাখতে পারেনি। ৭১’রে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছি একইভাবে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।

জাতীসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের মানদন্ডে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ডলার। সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২৭১ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬বা তার কিছু বেশী। সেখানে অর্জন করেছে ৭২দশমিক ৯। এছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে বাংলাদেশের আছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

নিয়মঅনুযায়ী তিনবছরে পরপর দুইবার সূচক অর্জন করলে চূড়ান্তভাবে একটা দেশকে মধ্যমআয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে ২০২১সালে আবারও তা নিশ্চিত করতে পারলে তবেই ২০২৪ সালে জাতীসংঘের পুরোপুরি স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়