মোরশেদ মুকুল: সংবাদপত্র শিল্পে ব্যবহার্য নিউজপ্রিন্ট অন্যান্য কাগজের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আমদানি কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে সংবাদপত্র উৎপাদন খরচও বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টনপ্রতি কাগজের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে ব্যবসায়িদের গুনতে হচ্ছে আমদানি শুল্ককর। সম্প্রতি চীনে পরিবেশ দূষনের দায়ে প্রায় ১ হাজার নিউজপ্রিন্ট কারখানা বন্ধ হওয়ায় বিশ্ববাজারে এ সংকট আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। এই সংকট উত্তরণে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কাগজ ব্যবসায়ি সমিতিগুলো।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশীয় সংবাদপত্রে ৪৫ জিএসএমের (স্ট্যান্ডস ফর গ্রামস পার স্কোয়ার মিটার) নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার হয়। এমন ভালোমানের নিউজপ্রিন্ট দেশীয় বাজারে দু-একটি মিল ছাড়া অন্যরা তৈরি করতে পারে না। দেশি নিউজপ্রিন্ট হয় ৪৮ থেকে ৫০ জিএসএমের। ফলে প্রতি কেজি কাগজে পত্রিকার উৎপাদন কম হয়। ১ কেজি বিদেশি কাগজে ২৪ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকার ৮ থেকে ৯টি কপি ছাপানো যায়, সেখানে দেশি কাগজে হয় ৬ থেকে ৭টি। এভাবে ১ কেজি কাগজে দুটি করে পত্রিকার কপি কম ছাপা হয়। এতে সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয়ও বেড়েছে। আবার কাগজের মান খারাপ হওয়ায় রঙিন ছাপার মানও খারাপ হয় বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
ঢাকার নয়া বাজারের ডিলার মোহাম্মদীয়া পেপার স্টোরের স্বত্তাধিকারী আলহাজ্ব মো. নুুরুল আমিন আমাদের অর্থনীতিকে জানান, বিশ্ববাজারে গত সাত মাসে নিউজপ্রিন্ট উৎপাদনের উপকরণ ও পেপারের দাম বেড়েছে। এর ফলে এক সপ্তাহ আগেও যে নিউজপ্রিন্ট ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকার বেশি দরে। পরিণামে বাংলাদেশে যেসব নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার হয়, তার দাম ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
ঢাকা কাগজ ব্যবসায়ি বহুমুখি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ বিন জুয়েল আমাদের সময় ডটকম জানান, বর্তমানে টনপ্রতি পাম্প ৭৫০ থেকে ৮০০ ডলারে আমদানি করতে হচ্ছে। কাগজ আমদানি করতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ডলারে। তাতে দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :