শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী নির্বাচনে কী জাপাই বিরোধী দল?

রবিন আকরাম : বিএনপির বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে এবং আগামী নির্বাচনে দলটি প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকরা পালন করবে বলে মনে করছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। নতুন ধারার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি সংসদে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তাকে পুঁজি করেই আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো সুসংহত হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারাও। একারণেই জাতীয় পার্টি এককভাবে বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচনে আসার কথা বহুবার বলেছে।

শনিবারের মহাসমাবেশে সেই বার্তাই দিয়েছেন এরশাদ। রাজধানীর মহাসমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সমাবেশে জাপা নেত্রী রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা আর কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হব না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতায় যাব এবং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব।’ এর আগে বিদেশি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ বলেছিলেন, সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে তার দলের সদস্যদের বের করে এনে তিনি জাতীয় পার্টিকে বিএনপির বিকল্প শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চান। কিন্তু তা এখনো সম্ভব হয়নি কারণ মন্ত্রিসভা থেকে জাপা নেতারা পদত্যাগে রাজি হননি। কার্যত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন।

তবে এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলোকে নিয়ে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ গঠন করেছেন এইচ এম এরশাদ। এর পেছনে সায় আছে সরকারি দলের। এমন সবুজ সংকেত পেয়েই এরশাদ সারা দেশ সফর করছেন। কিছু এলাকায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকায় তা রাজনীতিতে জাপার জন্যে আগামী নির্বাচনে এক বড় ধরনের সুযোগ মনে করছেন এরশাদ। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত রয়েছেন এরশাদ। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চান তিনি পুরোপুরি। মাঝে মধ্যে তাই আগামী সরকার গঠনের কথাও মুখ ফসকে বলে ফেলছেন। তাতে সরকারি দলের কোনো ভাবান্তর নেই। এরশাদের বিরুদ্ধে এখনো যেসব মামলা রয়েছে তা একটি সক্রিয় হলেই একেবারে নিশ্চুপ বনে যান এরশাদ। নির্বাচনের বছরে আর নিশ্চুপ না থেকে বেশ কিছুটা সরব হয়ে উঠছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়