শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৭:১৬ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৭:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশান্তির উল্লাস: রিজভী

শিমুল মাহমুদ: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উল্লাস প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে প্রশান্তির উল্লাসে মনে হয়েছে বহুদিন তিনি শিকারের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বন্য বিচার সার্থক করেছেন আওয়ামী রঙে রঞ্জিত আদালত দ্বারা। কিন্তু তাতে বেগম জিয়া মানুষের কাছে আরও বেশী জনপ্রিয় হয়েছেন, তার ওপর সরকারের দুর্বিষহ নির্যাতনে মানুষ ক্ষোভে-ক্রোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে।

রোববার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে চলমান আন্দোলনের স্রোত তীব্র বেগে ধাবিত হবে এবং স্বৈরাচারী সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নসাধ ধুলোয় লুটিয়ে যাবে। ক্ষমতার জোরে মিথ্যা মামলায় কাউকে জড়ানো যায়, এটা জনগণ জানে। এবং ক্ষমতার হুমকিতে ক্ষমতাসীনদের নামে মামলাও অদৃশ্য হয়ে যায় এটাও জনগণের অজানা নয়। বেগম জিয়াকে বন্দী করে রেখে পথের কাঁটা সরানোর দুরভিসন্ধির কথা এখন মানুষের মুখে মুখে। মানুষ বলছে-বেগম জিয়াকে বন্দী করার অর্থ গণতন্ত্রকেই বন্দী করে রাখা।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন-‘বিদেশেীদের কাছে দেন-দরবার করে লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্বাচন করা বিশ্বের কোথাও নজীর নেই।’ নিজেদের জনসমর্থনহীন ক্ষমতা ধরে রাখতে গোপন আঁতাতের জন্য আপনারাই সুইজারল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর দৌড়ঝাঁপ করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্বাচনের নজীর আপনারাই সৃষ্টি করেছেন, এটি কী ভুলে গেছেন ? ঐ সময়ে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার নজীর আপনারাই স্থাপন করেছিলেন। গান পাওডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে কী অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন।

আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে জানতে চাই-পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ ভেঙ্গে না দিয়ে নির্বাচন হয় ? এই নজীর কী আছে পৃথিীবতে কোথাও ? আপনারা এবং আপনাদের দোসর এরশাদই জাতীয় সংসদ বহাল রাখার কথা বলছেন। এরশাদ বলবেন এজন্য যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হাত খরচা পান। আর আপনি বলছেন চাকুরী রক্ষার্থে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশী প্রহরায় গণতন্ত্রকে জিম্মি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের তাল-বেতালের কথাবার্তায় মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বরং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বৈরাচার তকমা পেয়ে এখন আপনাদের মুখে গণতন্ত্র ও জনমতের কথায় অবলা প্রাণীও হেসে ওঠে।

রিজভী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন, জালভোট ও কলঙ্কিত নির্বাচনের স্বীকৃতি হলো বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই শুধু নয় তাদের সমর্থকরাও স্বৈরাচারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে লজ্জায় ডুবে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আবারও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার নীল নকশা কোনদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ।

রিজভী আরো বলেন,  দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে এখন এক গভীর মাষ্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে নির্বাচনী ঢেউ তোলার অপচেষ্টা চলছে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট নির্বাচনী ঢেউয়ে গা ভাসাবে না বিএনপি ও জনগণ।

তিনি আরো বলেন, অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত করে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আর সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।আর তা না হলে আন্তর্জাতিক স্বৈরাচারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই অবৈধ সরকারের পতন হবে ভয়াবহ।

রিজভী বলেন, বারবার ঘুঘু ধান খেয়ে যেতে পারবে না। জালভোট, রাতের গভীরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার কলঙ্কিত নির্বাচন আর এদেশে অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। জনরোষ এবার চরম প্রতিশোধের শক্তিতে সরকারের যেকোন নীল নকশাকে প্রতিহত করবে।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনার দু:শাসনের প্রকোপ এখন বিপজ্জনক রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী শক্তি এবং বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ শেখ হাসিনার চরম রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার। অন্তহীন ক্ষমতালিপ্সার কারণে জনগণের বদলে বন্দুককেই নিরাপদ মনে করছে এই সরকার। তাই বিরোধী আন্দোলনকে দমাতে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সাজানো হয়েছে। এরাই এই আওয়ামী নব্য নাৎসীবাদের বিশ্বস্ত প্রহরী। এরাই জান্তব হিংসতায় বিএনপি’র যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এরাই বিএনপি পাকড়াও অভিযান করে যাচ্ছে দেশব্যাপী। যেমন ছাত্রদল নেতা রাজকে টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে ছুঁড়ে মেরেছে পুলিশ ভ্যানের ভেতর। যেমন পুলিশ কাস্টডিতে পৈশাচিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত জাকির হোসেন মিলনকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়