সৈয়দ হাসান ইমাম : ২৫ শে মার্চ বেতার, টেলিভিশন আমাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। আমরা অনুষ্ঠান শেষ করে তারপর বাড়ি গেলাম। আমি একটু আগে বেরিয়ে প্রেস ক্লাবে গেলাম। ওখানে বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব বলল, বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরে ডেকে পাঠিয়েছেন। তখন আমার মা, আমার স্ত্রী ও আমার মেয়ে আজীমপুরে খালার বাসায় ছিল।
ওদের নিয়ে গাড়িতে করে যখন ফিরছি, তখন থেকেই বেরিকেট দেয়া শুরু হয়েছিল। যেহেতু আমি আন্দোলনে ছিলাম, আমাদের সাথের ছেলেরা আমাকে চিনত। ওরা কোন রকম আমাকে পার করে দিল।
আমি বাড়ি পৌঁছানোর আগেই জানতে পারলাম, শেরাটন হোটেলের ওখানে আর্মি কনবয় ঢুকছে, ওখান থেকে অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপর যখন কনবয় বেরিয়ে গিয়েছিল, আমি তখন মগবাজারে বাসায় পৌছলাম, বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই শুনতে পেলাম গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে।
আমরা সকলেই মাটিতে শুয়ে থাকলাম বাড়িতে। কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ তারা হত্যা করেছিল গুলি করে। ২৫ শে মার্চ রাতে তারা বিডিআর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমন করেছিল।
আর আক্রমন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপরে। আর টার্গেট করেছিল বস্তির মানুষ। যেহেতু শিল্পী সমাজের আমি আহবায়ক ছিলাম।
তাই তারা আমাকে টার্গেট করেছিল। আমি ২৭ শে মার্চ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম শান্তি নগরে আমার ফুফুর বাড়িতে। ওরা ২৮ শে মার্চ আমার বাড়ি সার্চ করতে আসল। আমি ফুফুর বাড়িতে বসে শুনতে পেলাম।
পরিচিতি : অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব/ মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :